মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত ও শনিবারে পুলিশি হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। বাগো শহরে প্যাগোডার কাছে তাদের মরদেহ পাওয়া গেছে।
মিয়ানমার পরিস্থিতি বিবেচনায় নো ফ্লাই জোন ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ক্য়িাও মোয়ে তুন। । সেই সাথে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৬ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আটক প্রায় তিন হাজার।
এদিকে, সহিংসতায় নিহতের দায় বিক্ষোভকারীদের নিতে হবে বলে সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন।
মিয়ানমারে গত নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সু চির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল জয় পায়। কিন্তু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। তারা পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে সামরিক অভ্যুত্থান করে।
এদিন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে।এরপর দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সেনাবাহিনী সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। জরুরি অবস্থার মধ্যেই জান্তা শাসন বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির জনগণ।