মাগুরা সদরের বাশঁকোটা, ও শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া মর্কদ্দখোলা,জয়নগর গ্রামের কৃষাণ-কৃষাণীরা এখন মাঠ থেকে রসুন তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন । সরজমিন মাঠে গিয়ে দেখা যায়,চৈত্রের প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কৃষাণ-কৃষাণীরা মাঠ থেকে রসুন তুলছেন । সাদা ধবধবে এ রসুন গুলোর আকার বড় ও দেখতে সুন্দর ।
কৃষি বিভাগ বলছে,এবার আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকুলে থাকায় মাগুরা জেলায় রসুনের আবাদ ভালো হয়েছে । জেলার কৃষকরা সঠিক সময়ে নিয়মিত সার ও সেচ দেওয়ার ফলে রসুনের ফলন ভালো হয়েছে । চলতি মৌসুমে জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ রসুন কৃষকের ঘরে উঠে গেছে । বাকী ২০ শতাংশ রসুন মাঠে উত্তোলনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকরা । জেলায় এবার ১ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে ।
তার মধ্যে শ্রীপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি । চলতি মৌসুমে এবার সদরে ১৮৫ হেক্টর,শালিখায় ১৬০ হেক্টর,মহম্মদপুরে ১৮০ ও শ্রীপুর উপজেলায় ৬৬০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে । এবার রসুনের হেক্টর প্রতি উৎপাদন ধরা হয়েছে ৯ মেট্রিক টন ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০.১৬৫ মেট্রিক টন ।
সদরের বাশঁকোটা গ্রামের রতন বিশ্বাস জানান, রসুন চাষে খরচ কম,ফলন ভালো । এবার সে ২ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছে । গত অগ্রহায়ন মাসে রসুনের বীজ বপন করেন তিনি । বীজ বপনের পর পর সঠিক সময়ে সার,কীটনাশক ও সেচ দেই । রসুনের চারা বের হলে জমিতে পরিচর্যা বাড়াই এবং সেচ দেই । চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে রসুন পরিপূর্ণ হলে জমি থেকে উত্তোলন শুরু করা হয় ।
বর্তমানে ২ বিঘা জমির ৭০ শতাংশ রসুন উত্তোলন প্রায় শেষ পর্যায়ে । বাকি ৩০ শতাংশ রসুন উত্তোলন ২ সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে । কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় রসুনের ফলন ভালো হয়েছে । এবার আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকুলে থাকায় রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে । এখন প্রতি মণ রসুন ১৫শ’ টাকা থেকে ১৬শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
আশা রাখছি এবার ভালো অর্থ পাব । শ্রীপুর উপজেলার মর্কদ্দখোলা রসুন চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন,সে ১ বিঘা জমিতে রসুনের চাষ করেছে । এবার রসুনের ফলন খুবই ভালো । এ চাষে খরচ কম ,লাভ বেশি । এবার তাদের গ্রামের অনেক চাষী রসুনের আবাদ করেছেন । আবহাওয়া ভালো থাকায় তারা রসুনের ফলন ভালো পেয়েছে ।
জেলা সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক বলেন,মসলা জাতীয় ফসল রসুনের আবাদ জেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । এ চাষে জেলার কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে । পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের এ ফসলের মান বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ থেকে নানা ধরনের সহযোগীতা করা হয়ে থাকে। সাইদুর রহমান, মাগুরা।