সারাদেশের ন্যায় নীলফামারীর সৈয়দপুরেও করোনা ভাইরাস থেকে বাচতে লকডাউন ঘোষনা কর হলেও ব্যবহার করা হচ্ছেনা হাত ধোয়ার বেসিনগুলো। স্থানীয় প্রসাশন ও পৌর পরিষদের তদারকির কমতি থাকায় স্বাস্থবিধির তোয়াক্কা করছেন না এই এলাকার মানুষ।
ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক এর ব্যবহার তো হচ্ছেই না সরকারি বেসরকারি ভাবে বসানো বেসিন গুলোতে পানি ও সাবান না থাকায় হাত ধুচ্ছেন না কেউই। অব্যবহৃত ময়লায় ভরে যাওয়া বেসিনগুলোর মতো মানুষের শরিরেও ভাইরাস জমতে শুরু করেছে।
শীত প্রধান দেশগুলোতে করোনার সংক্রমন বেশি হওয়ায় ২০২০ সালে সারাদেশের দেশের ন্যায় সৈয়দপুরেও সচেতনতা হতে বলেন সরকার। বসানো হয় শহরের মোড়ে মোড়ে বেসিন। সরকারের এই উদ্যোগে শীত মৌসমে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেয়েছেন দেশের মানুষ।
স্বাস্থ বিশেষজ্ঞদের মতে প্রথমত হাত ও পরে ঐ হাত, নাকে ও মুখে লাগালে দ্রুত করোনায় আক্রান্ত হয় মানুষ। হাত পরিষ্কার থাকলে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। আর এ কারনে ২০২০ সালে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বেসিন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। অনেকের মতে যতদিন সরকারের পক্ষথেকে জনসাধারনরে মাঝে অনুদান এসেছে এবং প্রসাসন কঠোর ছিল ততোদিন এ অঞ্চলের মানুষ ব্যবহার করেছেন মাস্ক ও বেসিন।
তারা জানান ২০২০ সালে দেশের মানুষ করোনার থাবায় আটকা পরলে সৈয়দপুর পৌর পরিষদ চত্বরের প্রধান ফটকের পাশে, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ফটক সংলগ্ন, উপজেলা পরিষদ চত্বর, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল সহ শহরের পাড়া মহল¬া ও সড়কের মোড়ে মোড়ে অসংখ্য বেসিন বসানো হয়। এসব বেসিন ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার হলেও বর্তমানে সরকার সারাদেশেই পর্যায়ক্রমে লকডাউন ঘোষনা দিলেও মাস্ক ও বেসিন ব্যবহার ভুলেই গেছেন সৈয়দপুরের মানুষ।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বসানো বেসিন নিয়ে পাখি আলমগির নামের এক ব্যাক্তি জানান এ বেসিনটি বসানোর পর মাত্র ৩-৪ মাস ব্যবহার হয়েছিল কিন্তু পরে পানি ও সাবান না থাকায় ও প্রসাসনের কঠোরতা না থাকায় সেটি আর ব্যবহার হচ্ছেনা। একই অবস্থা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, পৌর পরিষদ ফটক সংলগ্ন ও মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বসানো বেসিনগুলোর অবস্থা।
শহরের অদুরে ঢেলাপির বাজারে সপ্তাহে ২ দিন হাট বসছে। এ দুই হাটে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় কিন্তু কেউই হাত ধোয়ার বেসিন ব্যবহার করছেন না। করোনা থেকে বাচতে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর শহরে অসংখ্য বেসিন স্থাপন করেছিল কিন্তু চলতি মৌসুমে সরকার পর্যায়ক্রমে লকডাউন ঘোষনা করলেও ব্যবহার না হওয়ার ফলে বেসিন গুলোই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। শুধু মাত্র প্রশাসন নিশ্চুপ থাকার ফলেই সরকারের অর্থ অপচয় হয়েছে বলেই জানান স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী জেলার সিভিল সার্জান ডাঃ জাহাঙ্গির কবির জানান পৌর পরিষদ ও প্রশাসন কঠোর না হলে করোনার থাবা থেকে মানুষকে রক্ষা করা মুশকিল হয়ে পরবে। সরকারের ঘোষিত লকডাউন ও মুল্যহিন হয়ে পরবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।