করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন। পুরোপুরি বন্ধ সরকারি, বেসরকারি অফিস এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট। ৮ দিনের কঠোর লকডাউন শুরুর প্রথম দিনে সড়কে লোকজনের চলাচল কম রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সড়কও ফাঁকা।
পণ্যবাহী, জরুরি সেবার পাশাপাশি অল্প কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে চেকিং করছে। চলাচলের জন্য মুভিং পাস আছে কি না দেখতে চাচ্ছেন তারা। না থাকলে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে, গণমাধ্যমসহ জরুরি সেবা বিধিনিষেধের আওতামুক্ত।
রাজধানীর অনেক এলাকায় গলির মুখে বাঁশ দিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এদিকে শিল্প কারখানা, ব্যাংক, জরুরি সেবা খোলা থাকলেও সড়কে লোকজনের চলাচল অনেক কম। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নিজস্ব পরিবহনে চলাচল করছে।
এদিকে গণপরিবহন না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তবে চলাচলকারী অনেকেই এখনো মাস্ক পরাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। টিকা গ্রহণের প্রয়োজনে টিকার কার্ড দেখিয়ে বের হওয়া যাবে। এছাড়া ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন করতে বের হওয়া যাবে।
লকডাউনে খোলা রাখা হয়েছে পোশাক কারখানা। তবে গার্মেন্টস-কর্মীদের পরিবহনের ব্যবস্থা নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের। আর মসজিদে প্রতি ওয়াক্তের নামাজে ২০ জনের বেশি মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন না।
এদিকে, হোটেল-রেস্তোরাঁয় দুপুর বারোটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এবং রাত বারোটা থেকে ভোর ছ’টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি এবং সরবরাহ চলবে। উন্মুক্ত জায়গায় কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাবেচা সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত।
এছাড়া বোরো ধান কাটার জন্য জরুরি প্রয়োজনে কৃষিশ্রমিকেরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে বাধা নেই। এদিকে বন্ধ সব ধরনের গণপরিবহন। তবে চালু থাকছে পণ্যবাহী ট্রেন।