লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে এসেও নতুন করে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। এ জন্য বাহন হিসেবে তারা বেছে নিচ্ছেন বাইক, সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার। আর এসবকিছু চলছে পুলিশের সামনেই। তাই প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে লকডাউন ব্যবস্থা।
এদিকে করোনার ভয়াবহতা বাড়লেও সচেতন হয়নি সাধারণ মানুষ। অকারণে বাইরে বেরিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন। কেউ কেউ মাস্ক পরলেও তা নেই সঠিক স্থানে। উপেক্ষিত সামাজিক দূরত্ব।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু না কমায় এরই মধ্যে লকডাউনের মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোরে সুপারিশ করছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে চেকপোস্টগুলোর শিথিলতার সুযোগে এখনও রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। মোটরসাইকেল, অটোরিকশা বা প্রাইভেট কারে করে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন তারা। নজরদারি এড়াতে কেউ আবার চেকপোস্টের খানিক দূরে গাড়ি থামিয়ে হেঁটে কিছুদূর গিয়ে আবারও একই যানবাহনে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
পুলিশ বলছে, সড়কের যান চলাচল কিছুটা সামলানো গেলেও হেঁটে চলা মানুষকে কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
এদিকে কোথাও কোথাও খোলা রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাইরের দোকানও। এছাড়া রাজধানীর অলিগলিতে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। তাই এ ধরনের ঢিলেঢালা লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।