নওগাঁর মান্দায় সৎমায়ের নির্যাতন সইতে না পেরে আবদুল মজিদ (১১) নামে এক শিশু বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় শিশুটির সৎমা দুলালী খাতুনকে (৩১) আটক করেছে থানা পুলিশ।
উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের চককেশব দহপাড়া গ্রামের এ ঘটনায় গত রোববার মান্দা থানায় আত্মহত্যা প্ররোচণার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বাদমালঞ্চি গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে মর্জিনা বিবির সাথে প্রায় ৩৮ বছর আগে মান্দা উপজেলার চককেশব গ্রামের মোতাহার হোসেনের বিয়ে হয়।
২০১৯ সালে ৩ সন্তান রেখে মর্জিনা বিবি ইন্তেকাল করেন। প্রায় দুই মাস পর মোতাহার হোসেন উপজেলার সতিহাট চাঁনপুর গ্রামের আশরাফ আলী মন্ডলের মেয়ে দুলালী খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
শিশু আবদুল মজিদের মামা বদিউজ্জামান বদি জানান, ভগ্নিপতির দ্বিতীয় স্ত্রী দুলালী খাতুন বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ভাগিনা আবদুল মজিদের ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন শুরু করেন।গত শনিবার শিশুটিকে আবারো নির্যাতন করা হলে সে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
তাকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলার গাবতলী বাজারের পল্লী চিকিৎসক আবুল হোসেনের চিকিৎসায় সুস্থ হলে বাড়ি নিয়ে আসা হয়।
ওইদিন গভীর রাতে স্যালাইন চলা অবস্থায় মারা যায় আবদুল মজিদ।
এ ঘটনায় মামা বদিউজ্জামান বাদি হয়ে শিশুটির সৎমা দুলালী খাতুনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচণার দায়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মান্দা থানার পরিদর্শক শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে ও তার সৎমা দুলালী খাতুনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।