গ্রামের সহজ সরলা অবলা কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক প্রেমিক কেড়ে নেয় তার নারীসত্তা।পড়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে চতুর প্রেমিক শেষবারের মতো দৈহিক মিলনের পর প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে।
উপায়হীন হয়ে কিশোরী ঘটে যাওয়া বিষয়ে তার পরিবারকে জানালে স্থানীয়দের নিয়ে দেন-দরবারের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে প্রতারক প্রেমিক ও তার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিশা ধুলিয়া টেপাদহ গ্রামে। এ বিষয়ে গত ৫ এপ্রিল কিশোরীর মা ছাহেরা খাতুন বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
সুত্রে জানা গেছে, কিশোরীর বাবা মোশারফ হোসেন তারাগঞ্জ হাটে একটি টঙ দোকানে হোটেল ব্যবসা করেন । মোশারফ ও ছাহেরা বেগম দম্পত্তির ছিল না অক্ষরজ্ঞান। নিজেরা শিক্ষার আলো না দেখলেও মেয়েকে সেই আলোয় আলোকিত করতে চেয়েছিলেন। ঝড়ের কবলে পড়ে, সব স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়। স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার অবলা কিশোরী রুমানা।
জেলা সদরের চাপড়া ছোট ঢিং পাড়ার ব্যবসায়ী বুলবুল ইসলামের প্রেমে পড়ে ওই কিশোরী যুবকের পিতা ওই ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার জমসের আলি।
ধর্ষিতা কিশোরী বলেন, আমাদের এক বছরের সম্পর্ক। বুুলবুল আমার সবকিছু শেষ করেছে। আমি তার সংসার করতে চাই। সে আমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করলে আমি এ জীবন রাখবো না।
এদিকে, মামলার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও প্রতারক প্রেমিককে আটক করতে পারেনি পুলিশ। চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি ও বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ছাহেরা।
সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান জানান, আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ধরতে সক্ষম হবো।