কুড়িগ্রামের চিলমারীতে লকডাউন উপেক্ষা করে ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার কারনে স্নান উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবার সেখানে কোন মেলা বসাতে পারেনি।
অষ্টমী তিথিতে প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী ঘাটের বিস্তৃত এলাকায় অষ্টমীর স্নানে দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ অংশ নেয়। বিশেষ এদিনটি উপলক্ষে প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অষ্টমীর মেলা বসে। মেলায় চিনি ও গুরের তৈরি সাচ সহ হরেক রকম জিনিস পাওয়া যায়।
অসংখ্য মানুষ একদিনের এ মেলায় ব্যাবসার জন্য শিশুদের খেলনা সামগ্রীসহ বছর জুড়ে পণ্য তৈরী করে থাকে। এবার মেলা না বসায় তাদের মাথায় বজ্রপাত। লকডাউনে উপজেলা প্রশাসন থেকে অষ্টমীর স্নান ও মেলার উপর আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্নান করলেও মেলা বসাতে পারেনি কেউ। জানাগেছে, এবারের পূর্ণস্নানের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের পুটিমারীঘাট এলাকা নির্ধারিত থাকলেও নদের বিভিন্ন পয়েন্টে স্নান করে পুর্ণার্থীরা।
শতশত বছর ধরে সনাতন ধর্মালম্বীরা এই দিনে ব্রহ্মপুত্র নদের ত্রিধারায় স্নান করে আসছে। স্নান উৎসবে যোগ দেয়া পুণ্যার্থীরা জানান, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আজকের এই দিনে পুন্যস্নান করতে পারলে পুন্যতা লাভ করা যায়। তাই আমরা সামাজিক দুরত্ব মেনে স্নান করতে এসেছি।
প্রতি বছরের মেলা আয়োজনকারীরা জানান, করোনা আতঙ্ক আর প্রশাসনের নিষেজ্ঞা না থাকলে এবারে প্রায় ৫ লাখেরও বেশি পূর্ণথীরা সমাবেশ হত। মেলা বসাতে না পারায় অনেক ক্ষতির মুখে তারা।
চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ অনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের টহল টিম কাজ করছে। এর মধ্যে যারা সামনে পড়ছে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যেখানে বেশি মানুষ সমাবেত হচ্ছে খবর পাওয়া মাত্র সেখানেই পুলিশ যাচ্ছে এবং সকলকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন, করোনা মহামারির কারনে এ বছর চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নানের উপর নিষেজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিছিন্ন ভাবে নদের বিভিন্ন পয়েন্টে স্নান উৎসবে অংশ নিয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশকে কঠোর অবস্থানে থাকার নিদের্শ দেয়া হয়েছে।