নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ১৪ টি বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে বিক্রি করেছেন গাংনীর সাহারবাটি ইউনিয়নের সহকারী ভুমি কর্মকর্তা নুরুল হুদা। স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ি হাফিজুর রহমান ও আরশেদ আলীর কাছে মাত্র আট হাজার টাকায় গাছগুলি বিক্রি করেন। সহকারী ভুমি অফিসার নুরুল হুদা গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর ই আলম সিদ্দিকীর অনুমতি সাপেক্ষে গাছ বিক্রি করেছেন বলে দাবী করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সহকারী ভুমি অফিসার নুরুল হুদার তত্ত্বাবধানে গাছ ব্যবসায়িরা গাছ কাটছেন। এর মধ্যে রয়েছে দুটি আমগাছ, ১১টি ভেটুল গাছ ও একটি মহানিম। স্থানীয় লোকজন গাছগুলোর মুল্য অন্ততঃ ২০ হাজার টাকা বলে দাবী করলেও গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে মাত্র আট হাজার টাকায়। তাছাড়া সরকারী কোন নিয়মনীতি মানা হয়নি। সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুর-ই-আলম সিদ্দিকীর জোগসাজসে গোপনে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে গাছ বিক্রির অবৈধ এ পন্থার বিষয়টি স্পষ্ট হলে তা থমকে যায়।
একটি সুত্র জানায়, সরকারী স্থাপনার কোন গাছ বিক্রি করতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক সুপারিশপত্র জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করতে হবে। জেলা প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার বরাবর সুপারিশ পাঠালে তিনি অনুমোদন দিবেন। সে অনুযায়ি টেন্ডার বা কোটেশন দিয়ে গাছ বিক্রি করা হবে। এ ধরণের কোন নিয়ম মানা হয়নি।
সহকারী ভুমি অফিসার নুরুল হুদা জানান, নব নির্মিত ভূমি অফিসে আসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছিল তাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্যারকে জানানো হয়। তিনি ইউএনও , ডিসি স্যার সবাইকে ম্যানেজ করে গাছ বিক্রি করতে বলেন। সেহেতু ১৪ টি গাছ বিক্রি করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, তিনি গাছ বিক্রির কোন আদেশ দেননি। সমস্ত কাটা গাছ ভূমি অফিসে জমা রাখার আদেশ দিয়েছেন। পরে টেন্ডারে বিক্রি হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, নিয়ম নীতি না মেনে গাছ কাটা বা টেন্ডার ছাড়া গাছ বিক্রি বা কাটতে কেউ পারে না। যদি কেউ করে সেটা নিয়ম বহির্ভূত। তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।