রমজান মাসের আগ থেকে লকডাউন হওয়ায় লাচ্ছা সেমাইয়ের চাহিদা তেমন একটা লক্ষ করা না গেলেও খেজুরের চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুন। ফলে গত দিনের চেয়ে শহরে লাচ্ছা সেমাই তৈরীর কারখানা কম হলেও খেজুরে সয়লাব সৈয়দপুর শহর। কতটা স্বাস্থ্য সম্মত এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরী করা হচ্ছে লাচ্ছা ও ব্যবসায়ীদের গোডাউনে রক্ষিত ও পাইকারী বিক্রিত খেজুর গুলি নতুন আমদানীকৃত নাকি দীর্ঘদিনের পুরাতন তা দেখতে কঠোর অভিযান দাবী করেছেন সৈয়দপুরবাসী।
দেখা গেছে লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় গত দিনের চেয়ে প্রায় অর্ধেক কারখানায় তৈরী করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। অপরদিকে গোডাউনের প্রধান ফটক বন্ধ করে দীর্ঘদিনের জমে থাকা পুরাতন ও নিম্ন মানের খেজুর নতুন বস্তায় প্যাকেট করে বাজারজাত করছেন ক’জন ব্যবসায়ী। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযানে নেমে লাচ্ছা কারখানায় অভিযান চালালেও খেজুর ব্যবসায়ীর গোডাউনে দৃষ্টি না দেয়ায় গত ৫/৭ বছরেই এ শহরের দুজন ব্যবসায়ী হয়েছেন কোটিপতি।
অভিযোগ রয়েছে যেসব কারখানায় লাচ্ছা সেমাই তৈরী হচ্ছে তাদের অধিকাংশরই অনুমোদন নেই। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী বেশী মুনাফার আশায় প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে ভোর রাতে অথবা মধ্য রাতে তৈরী করছেন লাচ্ছা সেমাই। আর দীর্ঘদিনের পরে থাকা খেজুর নতুন বস্তায় প্যাকেট জাত করছেন তারা।
স্থানীয়রা বলছেন গত বছর সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে একাধিক লাচ্ছা সেমাই কারখানায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেন। সেই থেকে কিছুটা হলেও কমে যায় অনুমোদন বিহীন লাচ্ছা সেমাই তৈরীর কারখানার সংখ্যা। একারণে অনেকেই শহরের চেয়ে গ্রামে লুকিয়ে লুকিয়ে লাচ্ছা সেমাই তৈরীর কারখানা গড়ে তুলেছেন।
শহরের বিভিন্ন লাচ্ছা কারখানার পাশাপাশি সকল কোল্ড ষ্টোরে অভিযান চালালে বিগত ৫/৭ বছরের পুরাতন ও নিম্ন মানের খেজুর নতুন প্যাকেট জাত করার দৃশ্য চোখে পড়বে বলে সৈয়দপুর বাসীর অভিযোগ। অনুমোদন বিহীন লাচ্ছা কারখানার সাথে কোল্ড ষ্টোর গুলিতে অভিযানের দাবী করেন তারা।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভূমি কমিশনার রমিজ উদ্দিন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।