মহামারী করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার আশঙ্কাজনক বৃদ্ধির কারণে লকডাউনে টানা ১১ দিন বন্ধের পর খোলা হয়েছে মার্কেট-শপিং মল। তবে আজ সোমবার পর্যাপ্ত ক্রেতা উপস্থিতি না হওয়ায় ঈদ মার্কেটের শুরুতেই হুচট খেয়েছেন খুলনার ব্যবসায়ীরা।
রীতিমতো ক্রেতা সংকটে ভুগেছেন তারা। দু-একদিন পর ক্রেতা সমাগম কিছুটা বাড়বে বলে ধারণা তাদের। নগরীর প্রধান প্রধান মার্কেটগুলোতে আজ ক্রেতা সমাগম কম দেখা গেছে। করোনার সংক্রমণ রোধে টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর ২৫এপ্রিল থেকে দোকান-শপিং মল খুলেছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা ছিল দোকান-শপিং মল। আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে মার্কেটগুলোতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও সুরক্ষা দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি।
মাস্ক পরিধান ছাড়াও ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। মুখে মাস্ক নেই অধিকাংশ মানুষের। ঘেঁষাঘেঁষি অবস্থা। মার্কেটের কোন দোকানেই তো ক্রেতাদের সুরক্ষা দূরত্ব বজায় রাখা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হলো না। নগরীর ফুল মার্কেটের ব্যবসায়ী রেলওয়ে মার্কেটে দাঁড়িয়ে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মার্কেট-শপিং মল খুলে রাখলেই হবে না-স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণে প্রশাসনের টহল জোরদার করতে হবে। এদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন সরকার নির্ধারিত সকাল ১০ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মার্কেট খুললে ক্রেতা পাওয়া যাবে না।
তাই দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা রাখার দাবি তাদের। তারা বলেন, রমজানে মানুষ সকালে মার্কেটে আসে না। তাছাড়া অফিস চলছে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। অফিস শেষ করেই কোনো মানুষ মার্কেটে ছুটবে না। মানুষ আসবে বিকেল থেকে। তাই অন্তত রাত ৮টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকলে ব্যবসায়ীরা কিছু বিক্রি করতে পারবেন। শহিদ আঃ জব্বার বিপনী বিতানের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুস সালাম বললেন, প্রথম দিনে ২৫শে এপ্রিল থেকে ক্রেতা উপস্থিতি কম। তবে আজ সোমবার থেকে ক্রেতা সমাগম কিছুটা বাড়বে বলে আশা করছি।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে মার্কেটের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে মার্কেট কমিটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। জলিল টাওয়ারের ২য় তলার ‘স্টার বয়েজ’র স্বত্বাধিকারী মোঃ মুনতাসির আল মামুন বলেন, লোকসান গুণতে গুণতে ব্যবসায়ীরা এমনিতেই শেষ। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার সময়সীমা অন্তত রাত ১০টা পর্যন্ত করার দাবি সাধারণ ব্যবসায়ীদের। তাহলে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেরই সুবিধা হবে বলে মনে করেন তিনি।