বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এক তরুনীর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা চেষ্টা করেছে তার প্রেমিকের পরিবার। সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতে মোল্লাহাট উপজেলার গাফড়া গ্রামের ওই তরুনীর প্রেমিক বিপ্লব শিকদারের (২১) বাড়িতে এই হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটে। পরে বিপ্লবের বাবা বদির শিকদার ওই তরুনীকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে পাশ্ববর্তি জেলা গোপালগঞ্জ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
অভিযুক্ত বিপ্লব শিকদার গাফড়া গ্রামের বদির শিকদারের ছেলে। সে স্থানীয় একটি কলেজে স্নাতক শ্রেনির শিক্ষার্থী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিত ওই মেয়ে বলেন, আমাদের সম্পর্কের তিন বছর হল। আমাদের শারীরিক সম্পর্কের ফলে আমার গর্ভে একটি বাচ্চা এসেছিল।বিপ্লব জানতে পেরে আমাকে বলে বাচ্চা ফেলে দেও।বিয়ের আগে যদি বাচ্চার কথা জানাজানি হয় তাহলে মান সম্মান থাকবে না। বিয়ের পরে আবার বাচ্চা নেওয়া যাবে। এর পরে সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আমাকে বিপ্লবের বাড়িতে ডেকে নেয় বিপ্লব।
সেখানে বিপ্লবের মা আমাকে বলে তোমাকে আমার পুত্রবধু হিসেবে মেনে নিয়েছি, এই বলে সে আমাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়।ঘরের ভিতর নিয়ে বিপ্লবের মা-সহ চার-পাঁচজন লোক আমাকে মেরেছে।আমার হাত-পা চেপে ধরে তারা আমার গালে বিষ ঢেলে দিয়েছে। আমি আমার ইজ্জতের বিচার চাই। আমার গর্ভের সন্তান হত্যার বিচার চাই।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, বিপ্লব শুধু আমার সাথে নয়। আরও অনেক মেয়ের সাথে সে এই ধরণের শারীরিক সম্পর্ক করেছে।ওরা আমার গর্ভের সন্তান হত্যা করেছে, এখন আমাকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। আমি বিপ্লবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মেয়েটির বিধবা মা বলেণ, স্বামী মারা যাওয়ার পরে অনেক কষ্টে বাচ্চাদের লেখা পড়া শেখাচ্ছি। আমাদের অর্থ নেই, কিন্তু মান সম্মান আছে। বিপ্লব আমার মেয়ের সাথে প্রেম করে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। আমার মেয়েকে হত্যার চেষ্টা করেছে আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির বলেন, বিষয়টি জানা নেই। কেউ অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।