মণিরামপুর উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডলি দাসের নামের ওই গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতনের পর হত্যা করেছে বলে দাবি তার স্বজনদের। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মশ্মিমনগর কাঁঠালতলা দাসপাড়া থেকে ডলির দাসের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই লিটন জানান।
ডলি (৩৫) ওই এলাকার অশোক দাসের স্ত্রী এবং কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর গ্রামের পূর্ণ দাসের মেয়ে ছিলেন। ডলির মা পারুল রানী বলেন, ৬-৭ বছর আগে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর সুখদেব ডলিকে কুপ্রস্তাব দিতো। এতে মেয়ে রাজি না হওয়ায় তাকে নির্যাতন করা হত।
তিনি বলেন, “আমার মেয়ের গলায় আঘাতের চিহ্ন ও এক চোখের কোনে রক্ত জমাট দেখা গেছে। ও আত্মহত্যা করিনি। ওরা নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। এদিকে ডলির স্বজনরা তার শ্বশুর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে অশোক ও তার মা কবিতা দাসকে মারধর করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। পরে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. দীবাকর কুমার জানান, অশোক ও তার মায়ের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহতের ভাই শ্রীবাস বলেন, “সোমবার সন্ধ্যার পরে ডলি মারা গেছে। কিন্তু ওর শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাদের জানায় নি। পরে লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অশোকরা লোকজন নিয়ে আমাদের মারধর করে। আমরা ওদের মারিনি।
এদিকে মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের ভাষ্য, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ডলি। খবর পেয়ে ডলির বাড়ির লোকজন এসে অশোকদের বাড়ি ভাঙচুর করে এবং দুইজনকে মেরে হাসপাতালে পাঠায়।
এসআই লিটন বলেন, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। লাশ ময়নাতেদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।