দেশে-বিদেশের বিভিন্ন ধরণের অনলাইন ভিত্তিক বিনামূল্যে শিক্ষাবিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণের মাধ্যমে একেএকে ৪’শ সার্টিফিকেট অর্জনের মাধ্যমে ৪র্থ সেঞ্চুরি করলেন দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার শিক্ষক ও সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান।
আজ দুপুরে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এর অনলাইনভিত্তিক “কনফার্মেশন ওরাল হেলথ ইন প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেটিং” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ প্রাপ্তির মাধ্যমে তাঁর এ ৪র্থ সেঞ্চুরি সম্পন্ন হল। তাঁর এ সাফল্যে এলাকার শিক্ষিত ও সচেতন মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ সাফল্যে তাঁর সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব ও গুণগ্রাহীরা দেখা করে ও মোবাইলে কল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান উপজেলার মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি বিষয়ে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছেন। তিনি বিরামপুর পৌরশহরের ৭নং ওয়ার্ডের শিমুলতলী মহল্লার মৃত বছির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। এছাড়াও তিনি সেরা কনটেন্ট নির্মাতা এটুআই ও আইসিটি ফর এডুকেশন দিনাজপুর জেলার অ্যাম্বাসেডর এটুআই।
তিনি মে/২০১৯ইং সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের এটুআই কর্তৃক পরিচালিত “মুক্তপাঠ” থেকে ৮৯টি কোর্স, “মাইক্রোসফট এডুকেটর(এমআইই)” ২২৮টি কোর্স, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)” থেকে ৫৭টি কোর্স, “আওয়ার ইসলাম” থেকে ৭টি কোর্স, “গ্রেট লারনিং” থেকে ৫টি কোর্স, “ই-সোসাইটি” থেকে ৪টি কোর্স, “বহুব্রীহি” থেকে ৩টি কোর্স, “বাংলাদেশ তথ্য কমিশন” থেকে ১টি কোর্স এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স থেকে ৬টিসহ সর্বমোট ৪’শত সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন।
এ বিষয়ে কথা হলে শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘২৯/০৪/২০১৯ইং সালে রংপুর টিটিসিতে “বিটিটি” শিক্ষক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি স্থান অর্জন করি। তখন আমি মুক্তপাঠ থেকে “বেসিক টিচার ট্রেনিং” কোর্সটি সম্পন্ন করে একটি সার্টিফিকেট অর্জন করি। এরপর থেকেই আরও সার্টিফিকেট অর্জনের প্রতি আমার উৎসাহ বেড়ে যায়।
আমি ২৯/১১/২০১৯ইং সালে ‘এটুআই কর্তৃক পরিচালিত “শিক্ষক বাতায়নে” সেরা কনটেন্ট নির্মাতা নির্বাচিত হয়, ০৮/০১/২০২০ইং সালে ‘এটুআই’ এর “আইসিটি ফর এডুকেশন” দিনাজপুর জেলার অ্যাম্বাসেডর মনোনীত হই।
সেই থেকে একের পর এক বিনামূল্যে বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করি এবং কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করে সার্টিফিকেট অর্জন করি। এ সার্টিফিকেট অর্জন করতে গিয়ে আমি অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছি। যা আমার শিক্ষকতা পেশাকে অনেক শাণিত করেছে। আমার এ অর্জনে আমার শিক্ষকতা পেশা ছাড়াও আমার ব্যক্তি জীবনে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান আরও বলেন, আমি আইসিটি ভালবাসি। আইসিটি নিয়েই সব সময় ব্যস্ত থাকি। আমার পেশাদারিত্বকে আরও শাণিত করার জন্য আগামীতে বিভিন্ন শিক্ষামূলক কোর্সে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সার্টিফিকেট অর্জনে আমার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।