গতকাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর ২০২১ “মহামারী পরবর্তী বিশ্বের জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় নীতিনির্ধারকদের প্রস্তুতকরণ” শীর্ষক তিন দিন ব্যাপী এনএসইউ – এনএএসপিএএ দক্ষিণ এশিয়া কনফারেন্স ২০২১ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। জনাব ভবানী প্রসাদ খাপুং, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রক, নেপাল সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে এই ভার্চুয়াল কনফারেন্সের সমাপনী ঘোষণা করেন। এটি যৌথভাবে আয়োজন করেছিল সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ; নেটওয়ার্ক অফ স্কুল অফ পাবলিক পলিসি, অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএএসপিএএ), যুক্তরাষ্ট্র এবং ঔঝড স্কুল অফ পাবলিক পলিসি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, আহমেদাবাদ (আইআইএমএ), ভারত।
এই কনফারেন্সের লক্ষ্য ছিল কোভিড-১৯ মহামারী থেকে দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষণীয় বিষয় সমূহ তুলে ধরা এবং মহামারী পরবর্তী বিশ্বের জন্য নীতিনির্ধারকদের প্রস্তুত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করার জন্য শিক্ষাবিদ, অনুশীলনকারী, সুশীল সমাজের সদস্য এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের একত্রিত করা। এই ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বিশ্বের ১৩টি দেশ এবং ৭৮টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১৪টি প্যানেল আলোচনা ও ৮৭টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. অ্যাঞ্জেল রাইট-ল্যানিয়ার, নির্বাহী পরিচালক, এনএএসপিএএ, যুক্তরাষ্ট্র; মি. ডেভিড মার্শাল, সদস্য উন্নয়ন পরিচালক, এনএএসপিএএ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ড. নম্রতা চিন্দরকর, চেয়ারপারসন, ঔঝড স্কুল অফ পাবলিক পলিসি, আইআইএমএ, ভারত। সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।
নেপাল সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা প্রতিমন্ত্রী ভবানী প্রসাদ খাপুং বলেছেন, “মহামারী চলাকালীন সাফল্য অর্জনের জন্য সুশাসন এবং দক্ষ নেতৃত্ব হল মূল দিক।” তিনি আরও যোগ করেছেন যে এই মহামারী থেকে শেখা বিষয়গুলো ভবিষ্যতের মহামারী প্রশমিত করতে জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে। তিনি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সকে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে প্রশংসা করেন।
ড. অ্যাঞ্জেল রাইট-ল্যানিয়ার, নির্বাহী পরিচালক, এনএএসপিএএ, যুক্তরাষ্ট্র, বলেছেন যে এই দক্ষিণ এশীয় কনফারেন্স এনএএসপিএএ -এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আন্তর্জাতিক পাবলিক পলিসি স্কুল এবং অনুশীলনকারীদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
মহামারী ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বৈষম্য, পরিবেশগত স্বাস্থ্য এবং টেকসই উন্নয়নের বিষয়বস্তু সম্বোধন করায় মি. ডেভিড মার্শাল, সদস্য উন্নয়ন পরিচালক, এনএএসপিএএ, যুক্তরাষ্ট্র; এই কনফারেন্সের প্রশংসা করেন। তিনি আগামী দিনে দক্ষিণ এশিয়াতে আরও সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের আশা করেন।
ড. নম্রতা চিন্দরকর, চেয়ারপারসন, ঔঝড স্কুল অফ পাবলিক পলিসি, আইআইএমএ, ভারত; বলেছেন যে এই মহামারীটি প্রমাণ করেছে যে কার্যকর প্রতিক্রিয়া সহযোগিতামূলক হওয়া দরকার। তাই পাবলিক পলিসি শিক্ষার বিষয়বস্তুতে আরও অনুশীলন এবং প্রাসঙ্গিকতা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন যে, এই একাডেমিক কনফারেন্স মহামারী ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের ভান্ডারে অবদান রাখবে। এটি মহামারীর মতো জরুরী জনস্বাস্থ্য সঙ্কটকে সঠিকভাবে প্রশমনের নীতি প্রণয়নের জন্য সরকার ও বিভিন্ন এনজিওকে নির্দেশনা দেবে।
কনফারেন্সের স্ন্যাপশট প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ড. রিজওয়ান খায়ের, সহযোগী অধ্যাপক, এসআইপিজি, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ। তিনি সম্মেলনে উপস্থাপিত পেপার এবং প্যানেলিস্টদের আলোচনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং ফলাফল তুলে ধরেন। পরিশেষে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই কনফারেন্সের আলোচনা নীতিনির্ধারকদের মহামারী পরবর্তী বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সদস্য, সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা এবং শিক্ষার্থীরা ছিলেন।