প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরগুনা পৌরশহর থেকে পাজরাভাঙা গ্রামের দিকে যাচ্ছিল মালবাহী নছিমন গাড়িটি। গাড়িটি সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলো আকনের বাড়ির সামনের পৌছে। এসময় রাস্তার স্পীডব্রেকার থাকায় খেয়াল না করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি গাছের সাথে আঘাত লেগে উল্টে গিয়ে পাশ্ববর্তী মাঠে পরে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সেলিম ঘরামীকে মৃত ঘোষনা করেন। এছাড়াও গুরুতর আহত রুস্তম আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নছিমনে থাকা দুর্ঘটনায় আহত জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা তিন জন রড এর কাজ করি বরগুনা বাজারে কাজ শেষ করে বাড়িতে আসতেছিলাম ওই নসিমন এ করে নছিমনটি বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলো চালক রিপন। নিহত সেলিম ঘরামী প্রথমদিকেই চালক রিপনকে গাড়ি আস্তে চালানোর জন্য বলতেছিলো কিন্তু চালক রিপন তার কথা কথায় কর্নপাত করেনি। গাড়িটি উল্টে খাদে পর যায় এবং সেলিম ঘরামী ঘটনা স্থলেই নিহত হয় এবং আমাদের সাথের আর একজন জাহাঙ্গীর গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয় বাসীন্দা আসাদ হোসেন বলেন, আমরা অনেক লোক দোকানে বসা ছিলাম। এমন সময় বরগুনা থেকে আসা নছিমনটি উল্টে গিয়ে মাঠে পরে যায়। আমাদের ধারনা এখানে স্পীডব্রেকার দেখেও গাড়ির গতি কমায়নি, তাই নছিমনটি উল্টে যায়। পরে আমরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় একজন নিহত হয়েছেআরও ২ জন আহত রয়েছেন। নছিমনটির চালক পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।