বরিশালের একটা গ্রামের ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ফাইনালে উঠেছে দুই দল। এক দল হলো গ্রামের স্কুল শিক্ষকের টিম। অন্য দলটি হলো গ্রামের ধনি চেয়ারম্যানের দল। গত দুই বছর যাবত টানা ফাইনাল খেলেছে এই দুই দল। কিন্তু প্রবলেম হলো স্কুল মাস্টারের দলের কাছে ফাইনালে দুইবার পরাজিত হয়েছে চেয়ারম্যানের দল।
তাই এই বার আর চেয়ারম্যান কোনো রিক্স নিতে চায়না। সে ফাইনালের জন্য ঢাকা থেকে ক্রিকেটার কিনে এনে খেলাবে। যেই কথা সেই কাজ। এলাকার একজন ক্রিকেট কোচের মাধ্যমে খোঁজ লাগায় ঢাকার ভালো ক্রিকেটারের।
কোচ ঢাকায় একজন আন্দ্রে রাসেলের খোজ পায়। সে রাসেলের সাথে এই খেলা বিষয়ে ঢিল করে। টাকার বিনিময়ে আন্দ্রে রাসেল ভাল ভালো ক্রিকেটার নিয়ে ফাইনাল খেলতে বরিশাল যাওয়ার জন্য রাজি হয়।
আন্দ্রে রাসেল এবং তার বন্ধু ডিজে ব্রাভোর সাথে বসে আলোচনা করে তারা ক্রিকেটার কোথায় পাবে? তখন তারা ক্রিস গেইলের ব্যাপারে জানতে পাবে।(ক্রিস গেইল হলো একজন সাবেক ক্রিকেটার। সে একসময় কয়েকটা ছয় মেওে ছিলো দেখতে ক্রিস গেইলের মত হওয়ায় তাকে ক্রিস গেইল বলেই সবাই ডাকে। যদিও সে এখন কোনো ফর্মেই নাই) আন্দ্রে রাসেল এবং ব্রাভো গেইলের সাথে যোগাযোগ করে এবং গেইলের সাথে কথাবলে সে আরো একজন সাবেক ভালো খেলোয়াড়ের খোজ পেয়েছে।
(সাবেক খেলোয়াড় ব্রায়ান লাড়া। একসময় টুকটাক খেলাধুুলা করলেও এখন আর কেউ তাকে টিমে নেয়না। একসময় আন্দ্রে রাসেলের সাথে খেলাধুুলা করতো। এখন লাড়া বিয়ে শাধি করে সংসারি হয়েছে। পেশায় খুব বড় কিছু করেনা। ভ্যান, রিকশা এসব চালিয়েই সংসার চালায়। সংসারে খুব অভাব অনটন।)
ব্রায়ান লাড়াকে অনেক আগেই রাসেলদের ব্যাপারে ফোন করে বলে রেখেছে ক্রিস গেইল। তাই লাড়া পুরা ক্রিকেটিয় ডঙ্গে আছে। রাসেলওরা যেয়ে লাড়ার সাথেও চুক্তি করে আসে। এবং লাড়ার কাছ থেকে চন্দর পলের ব্যাপারে জানতে পাবে।
(চন্দরপল একজন হোটেল ব্যাবসায়ী। সে গেইল, লাড়া এদের চেয়েও সিনিয়র। এলাকায় ছোট্ট একটা ভাতের হোটেল আছে। এই হোটেলেই তার সংসার চলে। চন্দরপল মানুষটা ভালো হলেও সে একটু নিজেকে বেশি জ্ঞানি মনে করে। তাই সবসময় সবাইকে সে জ্ঞান বিতরন করে।)
রাসেলওরা চন্দরপলের সাথেও যোগাযোগ করে।
রাসেল, গেইল, চন্দরপল, লাড়া, ডিজে ব্রাভো সহআরো ১১ জনের একটা ফুলটিম নিয়ে তারা লঞ্চে জার্নি করে বরিশালের উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা করে। লঞ্চে তাদের সাথে ঘটে নানান মজার ঘটনা। সবাই মিলে প্যারাদেয় রাসেলকে। অবশেষে তারা সবাই বরিশাল পৌঁছায় এবং খেলার জন্য প্রস্তুত হয়।
ফাইনাল খেলার দিনে ক্রিস গেইল, এরা একে একে সবাই আউট হয়ে যায়। চেয়ারম্যানের দলটা হেরে যায়। চেয়ারম্যান তখন সবাইকে আটকায় এবং তখন জানতে পাওে তারা ভুয়া ক্রিকেটার। তারা কেউ খেলাই জানেনা।
সবাই বরিশাল লঞ্চের ডেকে করে আসতে আসতে তারা প্ল্যান করে তাদের একটা ক্লাব করা দরকার। কারন তারা যদি কন্টিনিউ তাদের এই বডি ফিটনেসের শো বিক্রি করে টাকা পয়সা ইনকাম করতে পারে তাহলে খারাপ কি ? তার জন্য দরকার কিছুভাল ক্রিকেটার তাদের ক্লাবে যুক্ত করা।।
তারা ঢাকা ফিরে। ক্লাব তৈরিকরে। ক্লাবের জন্য একটামাঠ রেডিকরে। তারপর তারা তাদের মতো দেখতে কিছু ছেলে পেলে ক্লাবে এড করে যারা আসলেই ভালো খেলে।
ক্লাব বেশ ভালই চলছিলো, কিন্তু ক্লাব মেম্বরদের মধ্যে কিছু ঝামেলা বা গ্রুপিং তৈরি হয়ে যাচ্ছিলো। তাই ক্লাবে একটা নির্বাচনের দরকার হয়েছিলো। এই নির্বাচন কেন্দ্র করে ক্লাবে তোইরি হয় গ্রুমিং এবং এক পর্যায়েসিদ্ধান্ত হয় সিলেকশনেই ক্লাবের কমিটি নির্বাচন হবে। সেখানে সভাপতি হয় চন্দরপল, সহসভাপতি হয় ব্রায়ান লাড়া আর সাধারন সম্পাদক হয় রাসেল। ক্লাব ভালোই চলছিলো। তাদের প্র্যাক্টিস চলছে, খেলা চলছে।
অনেকদিনপরেতারা একট বড়রকমেরফাইনাল খেলারট্রিপপায়। সেই খেলায়রাসেল, গেইল, লাড়া, চন্দরপলএরা খেলেএবং সেইম্যাচটাও হেরেযায়।
তখন ক্রিস গেইল, লারা, চন্দরপল তারা তিন জন সিনিয়র খেলা থেকে অবসর নেয়। তারা ক্রিকেট ফ্যানদেও কাছে মাফ চায়, কারন তারাভুয়া খেলোয়ার ছিলো কেউ কোনো খেলা পারেনা। তারা খেলে ছেড়ে দিয়ে ক্লাবের দায়িত্ব নিতেচায়। আর তারা ক্লাবে সত্যি সত্যি ভালো খেলোয়াড় তৈরি করার ওয়াদা করে।
এবং তাদের ক্লাবের নাম ” টিম ওয়েষ্ট ইন্ডিজ” চেঞ্জ করে রাখে ” বাংলার বাঘ। গল্প, চিত্রনাট ও পরিচালনা: মাইদুল রাকিব, রচনা, চিত্রনাট ও সংলাপ: সিফাত হোসেন
অভিনয়ে আছেন যারা: মারজুক রাসেল,হাসান মাসুদ, চাষি আলম, তানজিম হাসান অনিক, সামিরা খান মাহি, শেহতাজ, পাভেল, ওলিউল হক রুমি, সামান্তা, স্বর্ণলতা শেহতাজ, পারভেজ সুমন, জয়নাল জ্যাক প্রমুখ।