ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট এ বন্যায় নতুন করে ৪ জনের মৃত্যু নিয়ে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও যোগাযোগব্যবস্থা চালু করতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার।
ভারী বর্ষণের কারণে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ নদী ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে গেলে তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। সেখানে ২৮২টি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭৪ হাজারের বেশি বন্যাকবলিত মানুষ। সরকারি হিসেবে, রাজ্যের ২৯টি জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৭ লাখের বেশি।
সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি নাগাঁও, হোজাই, চাচার বেং দারাং জেলার। এই দুই জেলার প্রতিটিতে এক লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চলমান উদ্ধার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হোজাই জেলা থেকে আটকে পড়া দুই হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
শনিবার কলকাতায় কালবৈশাখী ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। মঙ্গলবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।
এ ছাড়া বিহারে বজ্রপাতে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহারজুড়ে আগামী দুই দিন ফের ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বন্যায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতিটি পরিবারকে চার লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আসাম সরকার। সরকার বরাক উপত্যকা থেকে উড়োজাহাজ চলাচলে আঞ্চলিক উড়োজাহাজ সংস্থা ‘ফ্লাইবিগের’ সঙ্গে অংশীদারত্বের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টিকিটের মূল্য তিন হাজার রুপি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। বাকি খরচ সরকার বহন করবে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আসামকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।