৬৫ দিনের অবরোধ শেষ হওয়ার মধ্যেই চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। এ ভরা মৌসুমেও দেখা মিলছেনা জেলেদের জালে কাঙ্খিত ইলিশ। এসময় অন্য সকল জেলেরা খালি হাতে ফিরে আসলেও পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির মালিকানাধীন এফবি সাফওয়ান নামের ট্রলারে ফাসে ফাসে উঠে আসে ৭৫ মন রুপালী ইলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে এফবি সাফওয়ান ট্রলারের মাঝি মো. মহসিন মিয়ার বরাত দিয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন মোস্তফা গোলাম কবির।
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে বৃহত্তম মৎস্য অবতরন কেন্দ্রের ঘাটে গভার সমুদ্র থেকে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে ফিরে আসে ট্রলারটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে বাজার সওদা করে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ শিকারের উদ্যেশ্যে পাঠান মালিক মোস্তফা গোলাম কবির। এর পরেই মাঝি মহসিন মিয়া বঙ্গোপসাগরের গভীরে জাল ফেলতেই উঠে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। ইলিশের ভরা মৌসুমেও যখন দেখা মিলছেনা জেলেদের জালে কাঙ্খিত ইলিশ সে সময় তারা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরে এসেছেতাতে জল্পনা ও কল্পনার যেন শেষ নেই। এদিকে অন্য ট্রলারের জেলেরা মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসছে ঘাটে।
পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির মুঠোফোনে জানান, বর্তমান সময়ে ইলিশের ভরা মৌসুমেও যখন জেলেদের জালে মিলছেনা ইলিশের দেখা সে সময়ই আমার জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরে এসেছে। মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি তিনি চাইলেই সব পারেন। তিনি আরো জানান, রাতেই মাছগুলো বিক্রি করার জন্য বাগেরহাট পাঠিয়ে দিয়েছি সেখানে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, আমার ট্রলার মালিকদের জালে মাছ না পাওয়ায় হতাশ হয়েই ফিরে আসেছে ঘাটে। খুব সমস্যার মধ্যেই তাদের দিন কাটছে, এরই মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের ট্রলারে ৭৫ মন ইলিশ পেয়েছে, এটাতো আমাদের জন্য খুশির খবর। আমার মনে হয় আস্তে আস্তে মাছ ধরা পরতে শুরু করেছে জেলেদের জালে। এরকম সকল জেলেরা মাছ পেলে ট্রলার মালিকরা পিছনের ধারদেনা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছি।
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, গভীর সমুদ্রে এখন প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে এবং ওই ইলিশের সাইজেও এখন বড়। তবে উপকূলের কাছাকাছি এখন অনেকটা কম পাওয়া যাচ্ছে মাছ। ধারনা করছি সামনের সময় গুলোতে জেলেদের ঝালে আরো ইলিশ ধরা পরবে।