দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে পৌর শহরের মধ্যে সম্প্রতি দিনাজপুর- গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই লেনের নির্মাণকৃত মহাসড়কটি দেবে গেছে। এতে সড়কে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন যানবাহন চলাচলকারী ও ভুক্তভোগীরা।
এত বড় বাজেটের নির্মিত আঞ্চলিক মহাসড়কটি বিরামপুর পৌর শহরের ঢাকামোড়স্থ এবং ঘোড়াঘাট রেলক্রোসিং সংলগ্ন নির্মাণ রাস্তার কাজ বছর না পেরতেই মহাসড়ক দেবে যাওয়ায় রাস্তার মাঝে ছোট বড় ঢেউ-ঢেউ আকারে পরিণত হয়েছে। ফলে মোটর সাইকেল, রিক্সা, ভ্যান, অটোরিক্সা এবং অন্যান্য ছোট যানবাহনসহ ঢাকাগামী কোচগুলো সোজা না চলে, ডানে বাঁয়ে হেলে-দুলে চলাচল করছে। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাস্তায় চলাচলরত ছোট-বড় যানবহনের চালকগণ।
এবিষয়ে একাধিক মোটর সাইকেল, রিক্সা, ভ্যান, অটোরিক্সা ও ছোট যানবাহনের ড্রাইভাররা জানান, বিরামপুর পৌর শহরের ঢাকামোড় এবং ঘোড়াঘাট রেলক্রোসিং সংলগ্ন আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটর সাইকেল, রিক্সা, ভ্যান, অটোরিক্সা সোজা চলাতে গেলে অটোমেটিকভাবে যানবহন গুলো ডানে বামে হেলে-দুলে চলাচল করে এবং যানবাহন গুলো উঠানামা করে। ফলে ওই দুই স্থানে খুব সতর্কতার সহিত ঝুঁকি নিয়ে গাড়ির স্টিয়ারিং চেপে ধরে গাড়ি চালাতে হয়।
জানা যায়, আঞ্চলিক মহাসড়কটি তৈরীর সময় দুই স্তরের বিটুমিন প্রয়োগ করা হয়েছে। বিটুমিন প্রয়োগের পরিমাণ সঠিক মতো না হওয়ায় ও কোথাও কম কোথাও বেশী হওয়ার কারণে বিটুমিন কোথাও নরম হয়ে এবং সঠিকভাবে রোলিং না করায় ছোট-বড় লেন বা ঢেউ আকারে পরিণত হয়েছে।
এদিকে পৌর শহরের চলাচলরত জনসাধারণের ভাষ্য, এতো বড় বিশাল বাজেটে আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজটি খুব নিম্নমানের হয়েছে। আর কিছুদিন পর হয়তো বিটুমিন উঠে গিয়ে খানা-খন্দকে পরিণত হবে।