শ্রমিক ধর্মঘটে সারা দেশে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল। এতে করে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের লঞ্চ চলাচলসহ পন্য পরিবহন। ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা, শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদানসহ ১০ দফা দাবিতে রোববার থেকে কর্ম বিরতি পালন করছেন নৌ শ্রমিকেরা।
এদিকে, হঠাৎ ডাকা ধর্মঘটে ভোগান্তিতে নৌপথের যাত্রীরা। নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, লক্ষ্মীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা দুর্ভোগে। সোমবার সকাল থেকে ভোলার ইলিশা, ভেদুরিয়া থেকে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার রুটের কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। ভোলা-লক্ষীপুর রুট থেকেও ছেড়ে যায়নি কোন লঞ্চ।
এসব ঘাটে অনেক যাত্রী আসলেও তারা গন্তব্যে যেতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন। তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত ফিরে গেছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন নারী ও শিশুরা।
যাত্রী নার্গিস আক্তার বলেন, ভোলায় এসেছিলাম বেড়াতে, এখন বরিশাল যাব। কিন্তু কোন লঞ্চ পাচ্ছি না। ছোট ট্রলারে কিভাবে যাবে। এটা তো অনেক ঝুঁকির ব্যাপার।
অন্যদিকে ধর্মঘটে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য পরিবহন। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর ১৮টি ঘাটে কাজ বন্ধ রেখেছে নৌ শ্রমিকরা। বর্হিনোঙরে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ থাকায় ৩৫টি মাদার ভেসেলের প্রায় ১৮ লাখ টন পন্য আটকা পড়েছে।
এছাড়া যশোরের নওয়াপাড়া নৌবন্দরেও বন্ধ আছে সার, কয়লা, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্য ওঠা-নামা। কর্মহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক। লোকসানের শঙ্কা জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলে প্রভাব পড়বে নিত্যপণ্যের বাজারে।
নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা, নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদান, মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকা করাসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন সারা দেশের নৌ-যান শ্রমিকরা।