কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা আদায়ের সময় ৩ ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্হানীয় জনতা। জানা গেছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যারাতে ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গা মোড় ইউনিয়নের শিমুলতলা বাজারে মোহাম্মদ আশরাফ আলীর চায়ের দোকানে মোটর সাইকেল যোগে উপস্থিত হয় ৫ সদস্যসের একটি প্রতারক চক্র।
এ সময় তাদের মধ্যে ৩ জন নিজেদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেয়। তারা দোকান মালিককে ভয়ভীতি দেখিয়ে দোকানে পচা দুর্গন্ধযুক্ত খাবার আছে বলে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে ১০,০০০ টাকা জরিমানা করে নগত ৫০০০ টাকা আদায় করে। এরপর তারা মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ আছে বলে পার্শ্ববর্তী মজিবুর রহমানের ঔষধের দোকানে ২০,০০০ টাকা এবং আনিসুর রহমান এর ঔষধ এর দোকানে ১০,০০০ টাকা জরিমানা করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় উৎসুক জনতার সন্দেহ হলে তাহাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে।
এ সময় তাৎক্ষণিক ২ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। তখন উৎসুক উত্তেজিত জনতা অপর তিন জনকে আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়। পরে ৯৯৯ এর মাধ্যমে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং ওই তিন ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে থানা হেফাজতে নেন।
এ সময় পুলিশ তাদের নিকট থেকে দুটি মোটর সাইকেল, অনলাইন নিউজ প্রোর্টালের ২টি সাংবাদিকতার পরিচয় পত্র ও ৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করে। আটককৃতরা হলো,
নাগেশ্বরী উপজেলার ভাঙা মোড় মনোকান্দি এলাকার মনির উদ্দিনের পুত্র আব্দুল আজিজ (৩৫), উলিপুর উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মালতি বাড়ী মোল্লা পাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ মাষ্টারের প্রাইমারি পাশ পুত্র মিঠু মিয়া (৩০) ও উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা ডালিমের পাড় এলাকার নুর মোহাম্মদ এর পুত্র সিরাজুল ইসলাম(২৯)।
আটককৃতদের তথ্যমতে, পালিয়ে যাওয়া দুই প্রতারক হচ্ছে, কুড়িগ্রাম সদরের সবুজ পাড়া মাধব রাম গ্রামের গোলজার হোসেন পুত্র আব্দুস সালাম ও উলিপুর উপজেলার ধরনী বাড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান পালিয়ে যায়।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তারা সংঘবদ্ধ পেশাদার একটি প্রতারক চক্র।
কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় নিজেদেরকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত একইভাবে প্রতারণা করে আসছিলো।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে আটকদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।