বরগুনার পাথরঘাটায় পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দীনকে অশালীন ভাষায় গাল-মন্দ করার অভিযোগ উঠেছে মেয়রের প্যানেল-১ মো. মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে। এসময় তিনি জুতা পেটা করারও কথা বলেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার এক লোকের একটি ঘরের নির্মান ফি নিয়ে পাথরঘাটা পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিনের সাথে মেয়রেরপ্যানেল-১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মশিউর রহমানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান সরকার নির্ধারিত ফি তাদের কাছ থেকেই নেয়া হবে
এ কথা শুনে মেয়রের প্যানেল-১ মশিউর রহমান গাল-মন্দ করেন একং এক পর্যায়ে জুতা দিয়ে মারতে হবে বলে প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের জরুরী বৈঠক তলব করা হয় সভাপতি ও সম্পাদকের মাধ্যমে। বিষয়টি অবমাননাকর বিধায় পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হোসেন আকনের হস্তক্ষেপ এবং তিনি বিচার করবেন প্রতিশ্রুতি দেয়ায় কোন সিদ্ধান্ত না নিয়েই আলোচনা শেষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কাউন্সিলর মোসাফফের হোসেন বাবুল জানান, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত, একজন কাউন্সিলর ও মেয়রের প্যানেল-১ হিসেবে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে তিনি এরকম আচরন করতে পারেন না।
পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক বিপ্লব কুমার জানান, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না, মুঠোফোনে শুনেই এসেছি। পৌর সভার স্টাফদের সাথে মেয়রের প্যানেল-১ এরকম আচারন করা ঠিক হয়নি। যদি সে এটা করে থাকে তা খুব দু:খজনক এবং মর্মাহত।
মেয়রের প্যানেল-১ মো. মশিউর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তার সাথে আমার কোন ঘটনাই ঘটেনি। আমরা এক সাথেই আছি, তবে পৌরসভার ট্যাক্স নির্ধারণ নিয়ে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, মেয়রের প্যানেল-১ এর সাথে তার একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি মেয়র সাহেবকে জানানো হয়েছে। তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকা থেকে এসেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে বসবেন।
পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন জানান, ঘটনাটি নিয়ে আমরা দু:খ প্রকাশ করেছি। মেয়র সাহেব ঘটনাটি নিয়ে বসে সমাধান করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন জানান, একটি বিষয় নিয়ে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেয়রের প্যানেল-১ এর সাথে ভুল বোজাবুঝি হয়েছে। ঘটনার সময়ে আমি ঢাকায় ছিলাম। বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধান করে দেয়া হয়েছে।