লালমনিরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম বড়–য়া, কুলাঘাট এলাকায় সরকারি রাস্তা ভেঙে পাকা বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে স্থানীয় ৩২০ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ।
শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা কুলাঘাট পশ্চিম বড়–য়া এলাকায় ভুক্তভোগীদের আয়োজনে ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলনে শতাধিক সাধারণ মানুষের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী রনবীর বলেন, বড়–য়া গ্রামে বসবাসকারী বাসিন্দারা বড়–য়ার এসএ রেকর্ডের ৯৪, ২২৫ ও ৮৪৭ দাগ এর মধ্যবর্তী রাস্তাটি শতবর্ষের অধিক সময় ধরে ব্যবহার করে আসছে। এর মধ্যে কোন এক সময় অত্র এলাকার মৃত গোবিন্দ চন্দ্র পিতা: মৃত হলেশ্বর বর্মন ম্যাপে বর্ণিত সরকারি রাস্তার কিছু অংশ স্থানান্তর করে রাস্তাটি সোজা করে (মৌজা বড়–য়া এর বিআরএস রেকর্ডের ২০৪,২০৫, ২০৬ ও ২১১ দাগ এর মধ্যবর্তী রাস্ত) এবং রেকর্ডে উত্তরাধিকারীগণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নকশা প্রস্ততকারীর সাথে আতাত করে স্থানান্তর পরবর্তী রাস্তার অবশিষ্ট অংশ বিআরএস নকশা থেকে বিলীন করে দেয়। যা দিয়ে গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে। সম্প্রতি মৃত গোবিন্দ চন্দ্র এর পুত্র গোকুল রায় ও মুকুল রায় স্থানান্তর পরবর্তী অবশিষ্ট অংশ নিজেদের জমি উল্লেখ করে,গত ২৪ নভেম্বর জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার উপর প্যান্ডেল করে। এলাকাবাসী সদর থানায় জানালে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার জন্য জায়গা রেখে প্যান্ডেল করার নির্দেশনা দিলেও তারা সে নির্দেশনা অমান্য করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সামনেই রাস্তা বন্ধ করার প্রকাশ্য ঘোষনা দেন। তারপর প্যান্ডেলের আড়ালে সরকারি রাস্তা কেটে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার উপর স্থায়ীভাবে পাকা ওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে। তখন এলাকাবাসী নিরুপায় হয়ে ৩০ নভেম্বর লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবরে স্থানীয় ৩২০ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু অভিযোগ দাখিলের পর সাক্ষরকারীদের বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলার হুমকি প্রদান করছে গকুল গং। ফলে প্রতিনিয়ত এলাকার লোকজন ভয়ে বাড়ির বাহিরে রাত্রি যাপনসহ,নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। তাই ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার বিচার প্রত্যাশা করেছেন।
এ বিষয়ে গকুল রায় জানান,জোর পূর্বক দখল করা হয়নি।এটি রেকর্ডভুক্ত রাস্তা নয়।