কাতার বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস গড়লো ক্যামেরুন। আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে তারাই প্রথম হারালো ব্রাজিলকে। আর তাদের জয়ের নায়ক আবুবাকার। ৯ পরিবর্তন নিয়ে নামা তিতের শিষ্যরা দুর্দান্ত খেলেও জয়ে দেখা পায়নি ফিনিসারের অভাবে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি- ইনজুরি সময়ে ভাঙে রক্ষণ দুর্গ। ১৭ ম্যাচ পর হারের মুখ দেখে সেলেসাওরা।
এই হারের পরও অবশ্য ‘জি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোয় উঠেছে ব্রাজিল। আর প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে ক্যামেরুন।
এই জয় কালো মানুষদের, এই জয় আফ্রিকার। ব্রাজিল বিপক্ষে তাদের মহাদেশের আগে কেউ যা পোরেনি তাই করে দেখালো ক্যামেরুন। জয়ের নায়ক আবুবাকার।
ব্রাজিলের এই হারে গ্রুপ পর্বে কোনো দলই পেল না পূর্ণ ৯ পয়েন্ট।
শেষ ষোলো আগেই নিশ্চিত হওয়ায়, নিজেদের ইতিহাসের ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তরুণতম দলটি নামায় সেলেনাওরা। শুরুর একাদশে ৯ পরিবর্তন।
ম্যাচজুড়েই দুর্দান্ত খেলেছে তিতের তরুণ তূর্কিরা। তবে ৬৫ ভাগ সময় বল দখলে রেখেও, ভাঙতে পারেনি আফ্রিকান দেয়াল। মুহুর্মুহু আক্রমণ— তবে নেই ফিনিসার।
ক্যামেরুনও নিয়েছে কঠিন পরীক্ষা। কাউন্টার অ্যাটাকে নাজেহাল করেছে দানি আলভেজদের। অবশেষে অতিরিক্ত সময়ের ৯৩ মিনিটে নতুন ইতিহাস লেখে রিগোবার্ড সঙের ক্যামেরুন। বাকারের হেডে ভাঙে ডেডলক।
চুড়ানব্বইয়ের বিশ্বকাপে খেলোয়াড় হিসেবে লালকার্ড দেখে ছিলেন সঙ। এবার উদ্যাপনের আতিশয্যে লালকার্ড দেখলেন তারই শিষ্য বাকার। ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদেরজিদানের পর তিনিই একমাত্র—যাকে গোল করে মাঠ ছাড়তে হলো।