ছাতক পিডিবির সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে পুরাতন বিদূৎ লাইন সংস্কারে নামে ব্যাপক অনিয়ম দুনীতি দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ থেকে জানা য়ায়,ছাতক ও দোয়ারাবাজার দুটি উপজেলার ইসলামপুর,নোয়ারাই,দোয়ারাবাজার সদর, সুরমা,বুগলা,লক্ষীপুরসহ ৬টি ইউপির কয়েক হাজার গ্রাহকদের কাছে পুরাতন বিদুৎ লাইন সংস্কারে নামে ১৩টি গ্রামে পুর্নসংস্কার করার নামে পিডিবির নোয়ারাই ফিন্ডারের ইনচাজ সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান এর নেতৃত্বে স্থানীয় ইউছুফ আলী,মুজিবুর রহমান,আব্দুল কাইয়ুম,অমলবাবু ও কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সহ ২০জন দালালের মাধ্যমে ১২ মিটার ফুল খুটি ৬১টি,৯ মিটার ফুল ২৫৭টি ,ট্রান্সফরমা ১২টি দিয়ে সংযোগ দিয়ে
গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসীর লোকজন।
গ্রাম গুলো হচ্ছেন,শারপিন টিলা,বাসটিলা, বারকাপন, লক্ষীবা
গত ১৫ জানুয়ারি সিলেটের পিডিবির প্রধান প্রকৌশলীর বরাবরে ছাতক দোয়ারবাজার ৬টি ইউপির বাসীর পক্ষে আব্দুল করিম,আব্দুল কাদিরসহ দুই শতাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ অভিযোগটি ,জ্বালানি উপদেষ্টা,বিদুৎ মন্ত্রী,মন্ত্রনালয়ে সচিব,বিদুৎ চেয়ারম্যান,দুনীতি দমন কমিশন ঢাকা,পরিকল্পনা মন্ত্রী ও মন্ত্রনালয় সচিব,পরাষ্টমন্ত্রী মন্ত্রী ও মন্ত্রনালয় সচিব,পিডিবির প্রকল্প চেয়ারম্যান ঢাকা ,উৎপাদন প্রকল্প ঢাকা,পিডিবির বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী সিলেট,বিভাগীয় কমিশনার সিলেট,সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক,গোয়েন্দা সংস্থাসহ ২০টি বিভিন্ন দপ্তরে এ অনিয়ম দুনীতির লিখিত অভিযোগ করেন।
তার বিরুদ্ধে রয়েছে আগে টাকা পরে সেবা। টাকা ছাড়াই কোন গ্রাহকরা সেবাপাচ্ছেন না। প্রিপ্রেইড মিটারের লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন,অফিসে মিটার আটকিয়ে গ্রাহককে মামলা ভয় দেখিয়ে বকেয়া নামে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছেন।
সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান কে মিটার চুরি ও নানা অনিয়ম,ঘুষ দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগের ছাতক থেকে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বিদুৎ কেন্দ্রে (বিউবো)কে বদলী করা হলেও দীঘ ১০ মাস ধরেই ও রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
তার নিজের বদলী ঠেকাতে সিলেটের চীপ প্রধান বড় অংকের টাকা দিয়ে বহাল থাকার অভিযোগে উল্লেখ্য করেছেন। তার নানা অনিয়ম-দুনীতি ঘুষ কেলেংকারির একাধিক বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পিডিবির প্রকৌশলীর দুনীতির শেষ কোথায় ? ছাতকে প্রিপ্রেইড মিটারে বকেয়া বিল, টাকা না দিলে অফিসে বসে মিটারের বিদুৎ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন পিডিবির সহকারি প্রকৌশলী মামুদুল হাসান।মিটার লক করে দিয়ে গ্রাহককে অন্ধকারে রেখেই হয়রানির নতুন কৌশল চালু করা হচ্ছে বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন।
এসব অনিয়ম দুনীতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে তবু ও দেখার কেউ নেই। তারা দালাল ব্যক্তিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পিডিবির প্রকৌশলীরা বিদ্যুৎ প্রিপ্রেইড মিটারে লক ও লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মতো ঘটনা ঘটিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছেন প্রকৌশলীরা । এসব অনিয়ম দুনীতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে তবুও দেখার কেউ নেই। এ গ্রাহকের জরিমানা টাকাগুলো ব্যাংকে জমা না দিয়ে তার পকেট চলে যায়। এসব ঘুসের টাকা নিয়ে পিডিবির অফিসে হাতাহাতির ঘটনায় নিয়ে সিলেট বিভাগ জুড়েই ব্যাপক সমালোচনা ঝড় বইছে।
এসব টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কর্মকতা ও কর্মচারিদের মধ্যে ২ভাগে বিভত্ত হয়। ঘুষের টাকার ভাগ নিয়ে যেকোনো সময় ভয়াবহ সংঘষে আংশকা বিরাজ করছে। ছাতক, দোয়ারবাজার ও সিলেটের বিশ্বনাথে ৫০হাজার বিদুৎগ্রাহকরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের। তবে দফতরে ধরনা দিলেই ল্যাপটপ থেকেই সার্ভারের লক খুলে দেয়ার মতো ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক হয়রানি হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠেছে, প্রিপ্রেইড মিটারে বকেয়া বিলের অভিযোগ তুলে দালাল চত্রু ব্যক্তিদের সুবিধা দিতে গিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করার মতো প্রতিনিয়ত ঘটনা ঘটছে এ অফিস প্রিপ্রেইড মিটারে ১৮হাজার ৩শ`গ্রাহকের অফিসের সবত্র গোপন নম্বার প্রকৌশলী ছাড়াই জনৈক ব্যক্তি এসব গোপন নম্বার জানেন বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করেন। হাজার হাজার মিটার গ্রাহকদের নামে লাখ লাখ টাকার বকেয়া জরিমানা বিলের টাকা ব্যাংক জমা না দিয়ে পকেট ভারি করছেন প্রকৌশলীরা। এখানে সরকারি মিটার গ্রাহকদের ফ্রি দেয়ার কথা থাকলে প্রতিটি মিটার ফিসের নামে ৩ হাজার থেকে ৪হাজার টাকা পযন্ত গ্রাহক কাছ থেকে আদায় করেছেন প্রকৌশলীরা ।
২০১৯সালে বরাদ্ধকৃত মিটার ২০২১ সালে গ্রাহকদের নামে রেজিষ্টার করে দেয়া হচ্ছে।গ্রাহকরা টাকা না দিলে অফিসে মিটার নেই। নগদ টাকা দিলে রাতারাতি মিটার মিলছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। এ অফিসে টাকা ছাড়া কোন সেবা মিলছে না। আগে টাকা পরে কাজ এ ভাবে চলছে ছাতক পিডিপির অফিস দুনীতির আখড়ায় পরিনত হচ্ছে। এ অফিসে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি মুজিবুর রহমান অধশতাধিক দালালদের মাধ্যমে বকেয়া বিলের নামে ভুয়া বিল দিয়ে লাখ লাখ টাকা জরিমান করে তাদের পকেট ভারি করছেন।
এ ব্যাপারে উন্নয়ন ও বিতরণ কেন্দ্রের সহকারি প্রকৌশলী সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এসব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন।