বিগত প্রায় দশ বছর ধরে স্ত্রী সন্তান থাকার পরও বিয়ের প্রলোভনে পরকীয়া প্রেম লাগাতর ধর্ষন করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে নানান ধরনের সুবিধা পেয়েও অন্য গৃহবধুর সাথে দ্বিতীয় পরকীয়ার মাধ্যমে রাতে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় পরকীয়াদের মাঝে তুমুল মারপিট শুরু হয়। মারপিটে পরকীয়া প্রেমিক প্রেমিকা ও এক আত্মীয় আহত হয়েছেন। রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন(ইউপির) মাদারিপুর বাজারে গত রোববার দিবাগত রাতে ঘটে এসব ঘটনাটি।
এঘটনায় আহত প্রেমিকা গৃহবধু হাফেজা বেগম বাদি হয়ে প্রেমিক আপেল ও দুই নম্বর প্রেমিকা মুঞ্জুয়ারাকে বাদী করে ১৬ জানুয়ারি সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে যেমন তেমনি ভাবে তিন সংসার ভাঙ্গা লম্বট আপেলের চরম শাস্তির দাবি করেছেন মাদারিপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা। কিন্ত অবাক করার বিষয় অভিযোগের কোন ব্যবস্থা নেয়নি থানা পুলিশ। তবে আপেলের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বুধবার দুপুরের দিকে মিমাংসা করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির) মাদারিপুর গ্রামের কেফাজ হোসেনের পুত্র আপেল দীর্ঘ ১০ বছর ধরে জৈনক ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেম করে আসছিল। আপেল মাদারিপুর বাজারে মুদির খানার ব্যবসা করেন। তার দোকানের পিছনে কয়েক গজ দুরে দুই পরকীয়া প্রেমিকের বাড়ি। প্রথম পরকীয়া প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভনে স্বামী স্ত্রীর মত সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এঅবস্থায় গত ১৫ জানুয়ারি রোববার দিবাগত রাতে প্রেমিক আপেলসহ তার বন্ধুরা হাস দিয়ে পিকনিক করেন। রাতে প্রথম পরকীয়া প্রেমিকাকে পিকনিকের মাংস দেন।
প্রথম পরকীয়া প্রেমিকা হাফেজা জানান, আমার স্বামী বাহির জেলায় কাজ কাম করে। হঠাৎ বাড়িতে আসেন। আবার চলে যান। এরই মধ্যে আপেল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী স্ত্রীর মত সম্পর্ক হয়। রোববার রাতে আমি অসুস্থ তারপরও আমার ঘরে এসে আদর সোহাগ করে হাসের মাংস দিয়ে দ্রুত বের হন। আমি তাকে আরেকজনের সাথে পরকীয়ার কথা বললে সে বলে আমি তোমাকে ভালবাসি, তোমাকে বিয়ে করব। কিন্ত আমাকে মাংস দিয়ে তার ঘরে ঢুকে পড়ে এবং আপেলের বুকের উপরে ওই মহিলা থাকা অবস্থায় ধরে ফেলি। এজন্য আপেল হাসুয়া দিয়ে আমাকে হত্যা করতে আসে এবং গলা চেপে ধরে। আমাকে উদ্ধার করতে আসে আমার বেয়ান, তাকেও লাঠি দিয়ে পেটানোর কারনে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাটতে পারছেন না। তিনি আরো জানান আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে, আরেক জন সন্তান প্রতিবন্ধী। কিছু বলতে গেলে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলবে। তারা প্রভাবশালী টাকা ওয়ালা। সারাক্ষন তার ভয়ে থাকতে হয়। থানায় অভিযোগ করার পর থেকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। বুধবার দুপুরের দিকে মাদারিপুর বাজারে আমার আহত বেয়ান রশিদার বাড়িতে বসে মিমাংসা করে দিয়েছে।
আপেল জানান, আমাকে লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, আমিও তাদের নামে অভিযোগ করেছি।
কামারগাঁ ইউপি সদস্য আনিরুল জানান, উভয়কে নিয়ে বসে মিমাংসা করা হয়েছে। কিভাবে মিমাংসা হল জানতে চাইলে তিনি কোন সদ উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গিয়ে বলেন যে ভাবে হোক মিমাংসা হয়েছে।
থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, মারপিটের অভিযোগ করেছিল ১ম পরকীয়া প্রেমিকা হাফেজা, প্রেমিক আপেল আরেক জনের সাথে পরকীয়া করার জন্য মারপিট করেছিল। ধর্ষনের কোন অভিযোগ হয়নি।