Dhaka ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক শহিদুল

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার বার্তা ২৪ নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম নওগাঁ সদর উপজেলার কৃত্তিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১ টায় এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, নব মুসলিম মো: অমিত হাসানের পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও মিন্টু ভুক্তভোগী পরিবারের ক্যামেরায় বক্তব্য নেওয়ার সময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাস্তান বাহিনী’র প্রধান ওয়াহেদুল রহমান রকি সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে হাত থেকে ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে আছাড় দিয়ে ভেঙে নষ্ট করে ফেলে।

রকির নেতৃত্বে এলোপাথারি মারধোর করে রকি’র বাড়ির সামনে নিয়ে এসে অবরুদ্ধ করে রাখে। এমন সংবাদ পেয়ে নওগাঁ জেলার স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম’কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। বর্তমানে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চিকিৎসাধীন ভিকটিম সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি জানতে পারি হিন্দু ধর্ম থেকে নব মুসলিম হওয়া এক পরিবার কে স্থানীয় মেম্বার রেজাউল হক এর ছেলে ওয়াহেদুল রহমান রকি, আতাউর এর ছেলে আরিফ, কামাল দেওয়ানের ছেলে মুন্না দেওয়ান, গিয়াসের ছেলে শামীম হোসেন, রমজান আলীর ছেলে আল আমিন, আতাউলের ছেলে রাকিব, রেজাউলের ছেলে রাজন, গোলামের ছেলে নাহিদ হোসেন সহ আরো অজ্ঞাতনামা কযে়কজন হঠাৎই এসে হামলা চালিয়ে হাত থেকে ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে মারতে শুরু করে।

রকি বলে ভূয়া সাংবাদিক তোকে আজকে মেরে ফেলবো তোর এতো সাহস হয় কি করে তুই আমাদের মাঝে কেন এসেছিস কি কাজ তোর আমরা কি করব না করবো তোর সমস্যা কোথায়। আমাদের নামে ডিবি পুলিশে অভিযোগ হয়েছে, ডিবি পুলিশ সাহস পায়না আমাদের কাছে আসতে আর তুই দুই পয়সার সাংবাদিক তুই এসেছিস আমাদের ছবি তুলতে তোকে আজকে মেরে ফেলবো বলে আমাকে বেধর মারপিট করে।

এক পর্যাযে় রকি বলে সাংবাদিক’কে নিয়ে চল ওরে আজকে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখবো। এসব বলে রকির বাসার সামনে আমাকে নিয়ে এসে আবার মারপিট শুরু করলে রকির বাবা রেজাউল হক তখন নিষেধ করলে আমাকে আটকে রাখে। পরে আমি জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন নওগাঁ’র ফেসবুক গ্রুপে জানাইলে সাংবাদিক ও পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

ভুক্তভোগী নব মুসলিম নূরে জান্নাত বলেন, আমি আল্লাহর ভয়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে সম্প্রতি মুসলিম হয়েছি। মুসলিম হওয়ার পর থেকে স্থানীয় মেম্বার রেজাউল করিম এর ছেলে ওয়াহেদুল রহমান রকি আমাদের কাছে থেকে ৪ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল।তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে বাড়ি থেকে বের হতে দিবে না।

আমি টাকা না দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, আমাকে আমার পরিবারের সকল কে বাড়িতে এসে রকি সহ সকলেই এলোপাতাড়ি মারপিঠ করে। এ সন্ত্রাসী কাজের সংবাদ সাংবাদিক’কে জানালে শহিদুল ইসলাম ও তার সহকর্মী মিন্টু হোসেন এসে আমাদের বক্তব্য নেওয়ার সময় তারা ক্যামেরা কেরে নিয়ে ভেঙে শহিদুলকে মারপিট করে আটকে রাখে।

নওগাঁ সদর মডেল থানার এস আই মেজবাহ বলেন, ঘটনা’টি জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম কে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি ভুক্তভোগী-তার পরিবার। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রযে়াজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এম

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

নওগাঁয় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক শহিদুল

Update Time : ১১:০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার বার্তা ২৪ নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম নওগাঁ সদর উপজেলার কৃত্তিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১ টায় এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, নব মুসলিম মো: অমিত হাসানের পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও মিন্টু ভুক্তভোগী পরিবারের ক্যামেরায় বক্তব্য নেওয়ার সময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাস্তান বাহিনী’র প্রধান ওয়াহেদুল রহমান রকি সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে হাত থেকে ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে আছাড় দিয়ে ভেঙে নষ্ট করে ফেলে।

রকির নেতৃত্বে এলোপাথারি মারধোর করে রকি’র বাড়ির সামনে নিয়ে এসে অবরুদ্ধ করে রাখে। এমন সংবাদ পেয়ে নওগাঁ জেলার স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম’কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। বর্তমানে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চিকিৎসাধীন ভিকটিম সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি জানতে পারি হিন্দু ধর্ম থেকে নব মুসলিম হওয়া এক পরিবার কে স্থানীয় মেম্বার রেজাউল হক এর ছেলে ওয়াহেদুল রহমান রকি, আতাউর এর ছেলে আরিফ, কামাল দেওয়ানের ছেলে মুন্না দেওয়ান, গিয়াসের ছেলে শামীম হোসেন, রমজান আলীর ছেলে আল আমিন, আতাউলের ছেলে রাকিব, রেজাউলের ছেলে রাজন, গোলামের ছেলে নাহিদ হোসেন সহ আরো অজ্ঞাতনামা কযে়কজন হঠাৎই এসে হামলা চালিয়ে হাত থেকে ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে মারতে শুরু করে।

রকি বলে ভূয়া সাংবাদিক তোকে আজকে মেরে ফেলবো তোর এতো সাহস হয় কি করে তুই আমাদের মাঝে কেন এসেছিস কি কাজ তোর আমরা কি করব না করবো তোর সমস্যা কোথায়। আমাদের নামে ডিবি পুলিশে অভিযোগ হয়েছে, ডিবি পুলিশ সাহস পায়না আমাদের কাছে আসতে আর তুই দুই পয়সার সাংবাদিক তুই এসেছিস আমাদের ছবি তুলতে তোকে আজকে মেরে ফেলবো বলে আমাকে বেধর মারপিট করে।

এক পর্যাযে় রকি বলে সাংবাদিক’কে নিয়ে চল ওরে আজকে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখবো। এসব বলে রকির বাসার সামনে আমাকে নিয়ে এসে আবার মারপিট শুরু করলে রকির বাবা রেজাউল হক তখন নিষেধ করলে আমাকে আটকে রাখে। পরে আমি জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন নওগাঁ’র ফেসবুক গ্রুপে জানাইলে সাংবাদিক ও পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

ভুক্তভোগী নব মুসলিম নূরে জান্নাত বলেন, আমি আল্লাহর ভয়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে সম্প্রতি মুসলিম হয়েছি। মুসলিম হওয়ার পর থেকে স্থানীয় মেম্বার রেজাউল করিম এর ছেলে ওয়াহেদুল রহমান রকি আমাদের কাছে থেকে ৪ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল।তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে বাড়ি থেকে বের হতে দিবে না।

আমি টাকা না দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, আমাকে আমার পরিবারের সকল কে বাড়িতে এসে রকি সহ সকলেই এলোপাতাড়ি মারপিঠ করে। এ সন্ত্রাসী কাজের সংবাদ সাংবাদিক’কে জানালে শহিদুল ইসলাম ও তার সহকর্মী মিন্টু হোসেন এসে আমাদের বক্তব্য নেওয়ার সময় তারা ক্যামেরা কেরে নিয়ে ভেঙে শহিদুলকে মারপিট করে আটকে রাখে।

নওগাঁ সদর মডেল থানার এস আই মেজবাহ বলেন, ঘটনা’টি জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম কে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি ভুক্তভোগী-তার পরিবার। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রযে়াজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এম