Dhaka ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি দামে ডিম বিক্রি শুরু খুচরা মূল্য সর্বোচ্চ কত

ডিমের বাজারের চলমান অস্থিরতা কাটাতে আজ থেকে শুরু হয়েছে সরকারি দামে ডিম বিক্রির বিশেষ কার্যক্রম। রাজধানীর ডিমের প্রধান দুই পাইকারি বাজার তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ডিম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’ এর মহাপরিচালক মো. আলীম আখতার খান কাপ্তান বাজারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

তবে তেজগাঁও বাজারে এ কার্যক্রম শুরু হবে শুক্রবার থেকে।

এখন থেকে উৎপাদকরা পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা দরে (পরিবহন খরচ বাদে) বিক্রি করবেন। পাইকারি বিক্রেতারা এ ডিম খুচরা বিক্রেতাদের দেবেন ১১ টাকা ১ পয়সা দরে।

এ কার্যক্রমে ডিম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে— কাজী ফার্মস, ডায়মন্ড এগস লি., প্যারাগন পোল্ট্রি, পিপলস পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, নারিশ পোল্ট্রি, ভিআইপি শাহাদত পোল্ট্রি, নর্থ এগ লি., নাবিল এগ্রো, আর.আর.পি, রানা পোল্ট্রি, চাঁদ এগ্রো, কৃষিবিদ পোল্ট্রি, চিত্রা এগ্রো, আমান পোল্ট্রি এবং মেগা পোল্ট্রি। আশা করা হচ্ছে, আফিল এগ্রো এবং প্রাণ এগ্রোও পরবর্তীতে এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হবে।

ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরু করা হলে সারাদেশেই এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নির্ধারিত এ দাম অনুযায়ী খামারে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ১০ টাকা ১৯ পয়সা। এর সঙ্গে যৌক্তিক লাভ ধরা হয়েছে ৩৯ পয়সা। ফলে উৎপাদক পর্যায়ে ডিমের যৌক্তিক দাম লাভসহ ধরা হয়েছে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা খামার থেকে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা দরে ডিম কিনলেও তার সঙ্গে পাইকারি বাজার পর্যন্ত ডিম পৌঁছাতে পরিবহনসহ বিপণন খরচ ধরা হয়েছে ৩৩ পয়সা। সে ক্ষেত্রে পরিবহন ও বিপণনসহ পাইকারি ব্যবসায়ীদের ডিম কিনতে খরচ পড়ছে ১০ টাকা ৯১ পয়সা।

তারা এই ডিম আড়ত থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন ১১ টাকা ১ পয়সা দরে। এ ক্ষেত্রে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ডিমপ্রতি মুনাফা করতে পারবেন ১০ পয়সা। খুচরা ব্যবসায়ীরা ১১ টাকা ১ পয়সা দরে ডিম কিনে তাদের নিজেদের দোকান পর্যন্ত এই ডিম পৌঁছাতে পরিবহন ও বিপণন খরচ ধরা হয়েছে ডিমপ্রতি ৪২ পয়সা। পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীদের ডিমপ্রতি মুনাফা ধরা হয়েছে ৪৩ পয়সা। এই খরচ এবং মুনাফা যোগ করে খুচরা বিক্রেতারা ভোক্তাদের কাছে ডিম বিক্রি করতে পারবেন ১১ টাকা ৮৭ পয়সা দরে।

অর্থাৎ সরকার ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের খুচরা মূল্য সর্বোচ্চ ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সরকারি দামে ডিম বিক্রি শুরু খুচরা মূল্য সর্বোচ্চ কত

Update Time : ১১:৪৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

ডিমের বাজারের চলমান অস্থিরতা কাটাতে আজ থেকে শুরু হয়েছে সরকারি দামে ডিম বিক্রির বিশেষ কার্যক্রম। রাজধানীর ডিমের প্রধান দুই পাইকারি বাজার তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ডিম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’ এর মহাপরিচালক মো. আলীম আখতার খান কাপ্তান বাজারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

তবে তেজগাঁও বাজারে এ কার্যক্রম শুরু হবে শুক্রবার থেকে।

এখন থেকে উৎপাদকরা পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা দরে (পরিবহন খরচ বাদে) বিক্রি করবেন। পাইকারি বিক্রেতারা এ ডিম খুচরা বিক্রেতাদের দেবেন ১১ টাকা ১ পয়সা দরে।

এ কার্যক্রমে ডিম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে— কাজী ফার্মস, ডায়মন্ড এগস লি., প্যারাগন পোল্ট্রি, পিপলস পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, নারিশ পোল্ট্রি, ভিআইপি শাহাদত পোল্ট্রি, নর্থ এগ লি., নাবিল এগ্রো, আর.আর.পি, রানা পোল্ট্রি, চাঁদ এগ্রো, কৃষিবিদ পোল্ট্রি, চিত্রা এগ্রো, আমান পোল্ট্রি এবং মেগা পোল্ট্রি। আশা করা হচ্ছে, আফিল এগ্রো এবং প্রাণ এগ্রোও পরবর্তীতে এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হবে।

ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরু করা হলে সারাদেশেই এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নির্ধারিত এ দাম অনুযায়ী খামারে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ১০ টাকা ১৯ পয়সা। এর সঙ্গে যৌক্তিক লাভ ধরা হয়েছে ৩৯ পয়সা। ফলে উৎপাদক পর্যায়ে ডিমের যৌক্তিক দাম লাভসহ ধরা হয়েছে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা খামার থেকে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা দরে ডিম কিনলেও তার সঙ্গে পাইকারি বাজার পর্যন্ত ডিম পৌঁছাতে পরিবহনসহ বিপণন খরচ ধরা হয়েছে ৩৩ পয়সা। সে ক্ষেত্রে পরিবহন ও বিপণনসহ পাইকারি ব্যবসায়ীদের ডিম কিনতে খরচ পড়ছে ১০ টাকা ৯১ পয়সা।

তারা এই ডিম আড়ত থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন ১১ টাকা ১ পয়সা দরে। এ ক্ষেত্রে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ডিমপ্রতি মুনাফা করতে পারবেন ১০ পয়সা। খুচরা ব্যবসায়ীরা ১১ টাকা ১ পয়সা দরে ডিম কিনে তাদের নিজেদের দোকান পর্যন্ত এই ডিম পৌঁছাতে পরিবহন ও বিপণন খরচ ধরা হয়েছে ডিমপ্রতি ৪২ পয়সা। পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীদের ডিমপ্রতি মুনাফা ধরা হয়েছে ৪৩ পয়সা। এই খরচ এবং মুনাফা যোগ করে খুচরা বিক্রেতারা ভোক্তাদের কাছে ডিম বিক্রি করতে পারবেন ১১ টাকা ৮৭ পয়সা দরে।

অর্থাৎ সরকার ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের খুচরা মূল্য সর্বোচ্চ ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করেছে।