গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঘুমন্ত স্ত্রী ও শাশুড়ির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে গেলেন পাষন্ড স্বামী। দগ্ধদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার স্ত্রী মারা যান। এ ঘটনার পর কালিয়াকৈর থানা পুলিশ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহত হলেন, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বাসিন্দা তানভীর হোসেনের স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের (২২)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছর আগে তানভীর নাটোরের সদর উপজেলার লক্ষীপুর এলাকার গ্রামের মুকুল আলীর মেয়ে মোর্শেদার প্রেমের সর্ম্পকের জেরে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। তাদের তিন বছর বয়সের রাইসা ইসলাম নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু গত দুই বছর আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে তারা পৃথক হয়ে যান। পরে স্ত্রী মোর্শেদা কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর এলাকায় মা ফুলজান বেগমের সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।
কিন্তু মাঝে মধ্যে ওই ভাড়া বাসায় যাতায়াত করতেন স্বামী তানভীর। স্থানীয়রা ও পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে র্মোশেদার ভাস্যমতে গত বুধবার রাতে সাড়ে ৮টার দিকেও তার স্বামী তানভীর তাদের ভাড়া বাসায় যায়। পরে রাত ৩টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী মোর্শেদা ও শাশুড়ি ফুলজান বেগমের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে বাহির থেকে দরজার সিটকিনি দিয়ে পালিয়ে যান পায়ন্ড স্বামী তানভীর।
এসময় তাদের মা-মেয়ের আতœচিৎকারে বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরে গুরতর আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের র্বান ইউনিটে ভর্তি করা হয়। কিন্তু আগুনে তাদের দুজনের শরীরের প্রায় ৮৫ ভাগ দগ্ধ হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে স্ত্রী মোর্শেদা মারা যান। গুরতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন শাশুড়ি ফুলজান বেগম (৪০)।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান, আগুনে মা-মেয়ের অগিদগ্ধের ঘটনা শুনে সকালে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। এছাড়া দগ্ধ স্ত্রী র্মোশেদার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। আর তার মা ওই হাসপাতালের র্বান ইউনিটে ভর্তি আছেন। তবে এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।