টানা ২ ঘন্টার বৃষ্টিতে যশোর শহর সহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার দু’ঘন্টায় যশোরে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাস্তা ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষের ঘরবাড়িতে পানি জমে গেছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত রোদ থাকলেও ১১টা নাগাদ মেঘের আনাগোনা শুরু হয়। এরপর দুপুর সাড়ে
১২টা থেকে শুরু হয় একটানা ঝুম বৃষ্টিপাত।
শহরে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সড়ক গুলোতে পানি জমে যায়। যা চলে দুপুর প্রায় আড়াইটা পর্যন্ত। অঝোর ধারার এ বৃষ্টিপাতে নিমিষেই তলিয়ে যায় শহরের নিম্নাঞ্চল। যা নিয়ে বিপদে পড়ে যায় নিম্নআয়ের মানুষেরা। বৃষ্টিতে ভিজেই তাদের ঘর গোছানো ও দুপুরের খাবার খেতে হয়। এতে মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। আজ যশোরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ১২০ মিলিমিটার।
শহরের পাইপপট্টি, রেলরোড, টিবি ক্লিনিক রোড, ষষ্টিতলাপাড়া, খড়কী, বেজপাড়া মেইন রোড, পিয়ারী মোহন রোড, বুনোপাড়া, কারবালা সড়ক, বকচর হুশতলা সড়ক, পুরাতন কসবা ও ঘোপ ধানপট্টি এলাকাসহ বিভিন্ন সড়ক ও পাড়া মহল্লায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। এতে বিপাকে পড়ে রিকশা চালকসহ শ্রমজীবী মানুষেরা।
শহরে পানি নিস্কাশন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সড়কগুলোতে পানি জমে যায়। সড়কের পানি ড্রেনে প্রবেশের যে ফাঁকা স্থান রয়েছে, সেখানে ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে শহরবাসী মন্তব্য করেছেন। তারা দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানের দাবি জানান।
শহরের খড়কি এলাকার বাসিন্দা প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশোর পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ড্রেনগুলো অপরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। আর ড্রেনগুলোও নাগরিকরা ডাস্টবিনে পরিণত করেছে। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কারও করা হয়নি। ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শরীফ হাসান বলেন, শহরবাসীর অসচেতনতার কারণেও নালার পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা, নালা সংস্কার ও নির্মাণের জন্য এমজিএসপি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মুক্তেশ্বরীর সঙ্গে সংযোগ খাল স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছি।