Dhaka ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ ফলে অনায়াসেই হতে পারে মেদভুঁড়ির সমাধান

পেটে চর্বি জমলে দেখতে কেমন যেন লাগে। পুরুষরা তো মনে করেন তাদের অর্ধেক সৌন্দর্য বুঝি নষ্ট করে এই পেটে জমে থাকা চর্বি। আবার বলা হয়, শরীরে সবার আগে এই পেটেই চর্বি জমে, ঝরার ক্ষেত্রেও আবার সবার শেষে ঝরে। লাইফস্টাইলে অসতর্ক থাকলে শরীরের কোনো জায়গায় চর্বি না জমলেও ঠিকই পেটে চর্বি বাড়ে। এ ক্ষেত্রে বলা হয় ভুঁড়ি বেড়েছে।

অনাকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে নানা ধরনের চেষ্টা করা হয় আমাদের। ডায়েট চার্ট থেকে শুরু করে শারীরিক চর্চা, কোনো কিছুর কমতি রাখা হয় না। সবই করা হয় স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। এবার এমন কয়েকটি ফলের নাম জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া, যা খাওয়ার মাধ্যমে ভুঁড়ি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

আনারস: ‘ব্রমেলিয়ন’ নামের এক ধরনের এনজাইম বিদ্যমান এই আনারস ফলে। যা মূলত হজমে সহায়তা করে পেট ফাঁপা কমাতে কার্যকর। আঁশ ও পানিসমৃদ্ধ হওয়ায় ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে এই ফল।

তরমুজ: তরমুজও পানিসমৃদ্ধ ফল। যা খুবই কম ক্যালোরিযুক্ত একটি ফল। নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার ফলে শরীর সতেজ থাকে।

পেঁপে: পেঁপে ফলের বিশেষ গুণের মধ্যে অন্যতম এটি হজমকারক। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁপেতে বিদ্যমান এনজাইম হজমে সহায়তা করে। পাশাপাশি অন্ত্রের প্রদাহ হ্রাস করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে এই ফল।

আপেল: আপেলকে খুবই উপকারী ফল বলা হয়। প্রচলিত রয়েছে, দিনে একটি আপেল খাওয়ার মানে রোগবালাই থেকে অনেকটা দূরে থাকা। প্রকৃত অর্থে আঁশ ও পানি থাকে এই ফলে। যা খাওয়ার ফলে দীর্ঘসময় পেট ভরা থাকে এবং এতে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

নাশপাতি: নিম্ন ক্যালোরি ও উচ্চ আঁশযুক্ত ফল বলা হয় নাশপাতিকে। এতে আঁশ বেশি থাকায় অল্প পরিমাণ খাওয়ার পরই পেট ভরে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে থাকে।

কমলা: ভিটামিন সি-এর উৎস্য হিসেবে কমবেশি সবাই কমলার নাম জানেন। এটি আঁশ সমৃদ্ধ। ফলে কমলা খাওয়ার পরও দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। এটি খাওয়ার পর অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়। এতে অল্পতেই স্বাস্থ্য কমিয়ে আনতে পারবেন।

কীভাবে খাবেন: যেকোনো ফলই জুসের পরিবর্তে গোটা ফল হিসেবে খাওয়া ভালো। জুসে তেমন উপকার মিলে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনাকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে ফলমূলের আঁশযুক্ত মাংসল খেতে হবে। এই আঁশযুক্ত মাংসল ফলের মাঝে থাকে। এ জন্য গোটা ফল খাওয়ার কথা বলা হয়। বিপরীতে জুসে অনেক সময় অতিরিক্ত চিনি বা কৃত্রিম উপাদান মেশানো হয়। যা ওজন কমানোর পরিবর্তে বাড়ায় এবং শরীরের ক্ষতি করে থাকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

৭ ফলে অনায়াসেই হতে পারে মেদভুঁড়ির সমাধান

Update Time : ১২:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

পেটে চর্বি জমলে দেখতে কেমন যেন লাগে। পুরুষরা তো মনে করেন তাদের অর্ধেক সৌন্দর্য বুঝি নষ্ট করে এই পেটে জমে থাকা চর্বি। আবার বলা হয়, শরীরে সবার আগে এই পেটেই চর্বি জমে, ঝরার ক্ষেত্রেও আবার সবার শেষে ঝরে। লাইফস্টাইলে অসতর্ক থাকলে শরীরের কোনো জায়গায় চর্বি না জমলেও ঠিকই পেটে চর্বি বাড়ে। এ ক্ষেত্রে বলা হয় ভুঁড়ি বেড়েছে।

অনাকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে নানা ধরনের চেষ্টা করা হয় আমাদের। ডায়েট চার্ট থেকে শুরু করে শারীরিক চর্চা, কোনো কিছুর কমতি রাখা হয় না। সবই করা হয় স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। এবার এমন কয়েকটি ফলের নাম জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া, যা খাওয়ার মাধ্যমে ভুঁড়ি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

আনারস: ‘ব্রমেলিয়ন’ নামের এক ধরনের এনজাইম বিদ্যমান এই আনারস ফলে। যা মূলত হজমে সহায়তা করে পেট ফাঁপা কমাতে কার্যকর। আঁশ ও পানিসমৃদ্ধ হওয়ায় ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে এই ফল।

তরমুজ: তরমুজও পানিসমৃদ্ধ ফল। যা খুবই কম ক্যালোরিযুক্ত একটি ফল। নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার ফলে শরীর সতেজ থাকে।

পেঁপে: পেঁপে ফলের বিশেষ গুণের মধ্যে অন্যতম এটি হজমকারক। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁপেতে বিদ্যমান এনজাইম হজমে সহায়তা করে। পাশাপাশি অন্ত্রের প্রদাহ হ্রাস করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে এই ফল।

আপেল: আপেলকে খুবই উপকারী ফল বলা হয়। প্রচলিত রয়েছে, দিনে একটি আপেল খাওয়ার মানে রোগবালাই থেকে অনেকটা দূরে থাকা। প্রকৃত অর্থে আঁশ ও পানি থাকে এই ফলে। যা খাওয়ার ফলে দীর্ঘসময় পেট ভরা থাকে এবং এতে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

নাশপাতি: নিম্ন ক্যালোরি ও উচ্চ আঁশযুক্ত ফল বলা হয় নাশপাতিকে। এতে আঁশ বেশি থাকায় অল্প পরিমাণ খাওয়ার পরই পেট ভরে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে থাকে।

কমলা: ভিটামিন সি-এর উৎস্য হিসেবে কমবেশি সবাই কমলার নাম জানেন। এটি আঁশ সমৃদ্ধ। ফলে কমলা খাওয়ার পরও দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। এটি খাওয়ার পর অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়। এতে অল্পতেই স্বাস্থ্য কমিয়ে আনতে পারবেন।

কীভাবে খাবেন: যেকোনো ফলই জুসের পরিবর্তে গোটা ফল হিসেবে খাওয়া ভালো। জুসে তেমন উপকার মিলে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনাকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে ফলমূলের আঁশযুক্ত মাংসল খেতে হবে। এই আঁশযুক্ত মাংসল ফলের মাঝে থাকে। এ জন্য গোটা ফল খাওয়ার কথা বলা হয়। বিপরীতে জুসে অনেক সময় অতিরিক্ত চিনি বা কৃত্রিম উপাদান মেশানো হয়। যা ওজন কমানোর পরিবর্তে বাড়ায় এবং শরীরের ক্ষতি করে থাকে।