সৈয়দপুরে দিনে ভ্যাপসা গরম আর রাতে শীত অনুভব হচ্ছে। গরম আর শীতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সর্বস্তরের মানুষ। রাতের শুরু থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আকাশ জুড়ে কুয়াশা আর ভোর রাতে শিশির পড়তে থাকায় শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকছে। একারনে বয়স্ক আর শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হলেও আমন ধান সহ আগাম জাতের শীতকালীন সবজির যথেষ্ট উপকার হয় বলে জানান কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, দিনে গরম ও রাতে শীত অনুভব হওয়ায় সর্দি, কাশি,জ্বর শ্বাসকষ্ট, চোখে ভাইরাস জনিত রোগ সহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে সর্বস্তরের মানুষ। তবে দিনে রাতে শীতের প্রকোপ বাড়লে রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকটা কমে যাবে। তিনি বলেন, হিমালয়ের খুব কাছের এলাকা হলো নীলফামারীর সৈয়দপুর। গত ৫/৬ বছর আগে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে। বর্তমান শীতেও এরই আশংকা করা হচ্ছে। তাই সকলকে সাবধানে থাকতে হবে।
তবে সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভুষন রায় বলেন, দিনে গরম আর রাতে শিশির পরার কারনে ধানের শীষ শক্তি শালী হবে। ধানের শীষে পর্যাপ্ত ধান আটকাবে।শিশিরের কারনে শীতকালীন সবজি দ্রুত বেড়ে উঠতে সহযোগিতা করবে। তবে পর্যাপ্ত কুয়াশা পড়লে শীতকালীন সবজির ক্ষেত পলিথিন বা যে কোন উপায়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেন তিনি।