নওগাঁর পোরশায় আমন ধানের ক্ষেতে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। রোগাক্রান্ত ধান গাছে কীটনাশক স্প্রে করেও তেমন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে জানা গেছে, ধানের পচন রোগের আক্রমনে ধানগাছ গোড়া থেকে পঁচে মরে যাচ্ছে। কৃষকরা প্রতিদিন বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করার পরেও কোন ভাল ফলাফল পাচ্ছেন না। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমন ধানের ফলনে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে মনে করছেন কৃষকরা। তবে বিভিন্ন উপায়ে কৃষক তাদের ফসল বাঁচানোর চেষ্ঠা করেই যাচ্ছেন।
উপজেলার অন্যান্য এলাকার চেয়ে নিতপুর ইউনিয়নে আমন ধানের পচন রোগ এবছর বেশি বলে জানা গেছে। নিতপুর ইউনিয়নের গোপালগঞ্জের আব্দুর রহিম, আক্কাস আলী, শোভাপুরের আবু সুফিয়ান জানান, তাদের জমিতে রোপনকৃত আমন ধানে এবছর ব্যাপকভাবে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। এবছর এ ইউনিয়নে আমনের ফলনে বিপর্যয় হতে পারে বলে তারা মনে করছেন। ধানের রোগ বালাইয়ে পরেও কৃষি বিভাগ থেকে কোন পরামর্শ বা সহযোগীতা পাননি বলেও তারা অভিযোগ করেন।
ঘাটনগর ইউনিয়নের পাঁচড়াই গ্রামের মকবুল হোসেন মাষ্টার ও নিষ্কিনপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, কিছুদিন আগেও জমির ধান ভাল ছিল। হঠাৎ করে ধানে পচন রোগের আক্রমন শুরু হয়েছে। মশিদপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, তার জমিতে কয়েকবার কীটনাশক ছিটিয়েও কোন কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে নিতপুর ইউনিয়নে তায়িত্বরত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিয়ামত উল্লাহ জানান, আমাকে মানুষ ফোন দেয়না, তাহলে আমি কি করবো? মানুষ যদি ফোন দিয়ে ডাকে তাহলেতো আমি মানুষের কাছে গিয়ে সমস্যা সমাধান করবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ আমন ধানে পচনের রোগের আক্রমনের কথা স্বীকার করে জানান, পচনের সাথে ধান গাছের আগাও মরে যাচ্ছে। অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে এই রোগ নিতপুর ইউনিয়নের মধ্যে বেশি দেখা দিয়েছে। নিতপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিয়ামত উল্লার দায়িত্বে কোন অবহেলা থাকলে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবেন বলেও জানান।