Dhaka ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁর আস্তান মোল্লা কলেজের শিক্ষকরা কলেজের পদত্যাগকারী অধ্যক্ষ মাহবুবুল ইসলামের  দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার (২১অক্টোবর) দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গনে কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ও শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনের কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহিনা আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, অধ্যক্ষ মাহবুবুল ইসলামের দায়িত্বহীন, অদক্ষ, অনভিজ্ঞ, স্বেচ্ছাচারী ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে এবং অফিসের আলমারির চাবি না দেওয়ার কারণে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের  অপূরনীয় ক্ষতি-সাধন হচ্ছে। অধ্যক্ষের কক্ষে নির্মাণ করা গোপন ঘরের আলমারির চাবী হস্তান্তর না করার কারণে সেখানে সংরক্ষণ করে রাখা শিক্ষার্থীদের সনদপত্র, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্তসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি পাওয়া যাচ্ছে না। এক পর্যায়ে প্রশাসনের চাপে পড়ে তিনি এসে কিছু কাগজপত্রাদি বের করে দিলেও কলেজের রেজুলেশন বই না দেওয়ার কারণে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়াও অনার্স পর্যায়ে ১২ জন, ল্যাব সহকারী ৪ জন এবং নৈশ প্রহরী ১ জন নিয়োগ দেওয়া হয়। মোট ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি মনগড়া ভাবে কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ, কেনাকাটা ও প্রয়োজনীয় খরচ করে এসেছেন। এসব খরচের মনগড়া খরচের ভাউচার সংরক্ষণ করে রেখে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবীর প্রেক্ষিতে গত ২১আগস্টে মাহবুবুল ইসলাম অধ্যক্ষ পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগ করলেও তিনি অফিসের চাবি অফিসে বুঝিয়ে বা ফেরত না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। এতে অফিসের কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভেতরে আটকা থাকায় শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ, পদোন্নতি, টাইম স্কেল ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কলেজের গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্রাদি উইপোকা নষ্ট করেছে।
তাই অতি দ্রুতই আলমারির চাবী ফেরতসহ মাহবুবুল ইসলামের সকল অপকর্মের তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়। তা না হলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী প্রদান করা হয়। এসময় কলেজের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে এখনোও কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দাবী করে মাহবুবুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ গুলো সম্পূর্ন মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তারাই আমাকে কলেজে যেতে দিচ্ছে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে: আলোচিত দুর্বৃত্ত সবুজসহ তিনজন আটক

নওগাঁয় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০৭:৪০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

নওগাঁর আস্তান মোল্লা কলেজের শিক্ষকরা কলেজের পদত্যাগকারী অধ্যক্ষ মাহবুবুল ইসলামের  দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার (২১অক্টোবর) দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গনে কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ও শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনের কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহিনা আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, অধ্যক্ষ মাহবুবুল ইসলামের দায়িত্বহীন, অদক্ষ, অনভিজ্ঞ, স্বেচ্ছাচারী ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে এবং অফিসের আলমারির চাবি না দেওয়ার কারণে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের  অপূরনীয় ক্ষতি-সাধন হচ্ছে। অধ্যক্ষের কক্ষে নির্মাণ করা গোপন ঘরের আলমারির চাবী হস্তান্তর না করার কারণে সেখানে সংরক্ষণ করে রাখা শিক্ষার্থীদের সনদপত্র, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্তসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি পাওয়া যাচ্ছে না। এক পর্যায়ে প্রশাসনের চাপে পড়ে তিনি এসে কিছু কাগজপত্রাদি বের করে দিলেও কলেজের রেজুলেশন বই না দেওয়ার কারণে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়াও অনার্স পর্যায়ে ১২ জন, ল্যাব সহকারী ৪ জন এবং নৈশ প্রহরী ১ জন নিয়োগ দেওয়া হয়। মোট ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি মনগড়া ভাবে কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ, কেনাকাটা ও প্রয়োজনীয় খরচ করে এসেছেন। এসব খরচের মনগড়া খরচের ভাউচার সংরক্ষণ করে রেখে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবীর প্রেক্ষিতে গত ২১আগস্টে মাহবুবুল ইসলাম অধ্যক্ষ পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগ করলেও তিনি অফিসের চাবি অফিসে বুঝিয়ে বা ফেরত না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। এতে অফিসের কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভেতরে আটকা থাকায় শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ, পদোন্নতি, টাইম স্কেল ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কলেজের গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্রাদি উইপোকা নষ্ট করেছে।
তাই অতি দ্রুতই আলমারির চাবী ফেরতসহ মাহবুবুল ইসলামের সকল অপকর্মের তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়। তা না হলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী প্রদান করা হয়। এসময় কলেজের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে এখনোও কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দাবী করে মাহবুবুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ গুলো সম্পূর্ন মিথ্যে, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তারাই আমাকে কলেজে যেতে দিচ্ছে না।