নওগাঁর মান্দায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে থানার কুড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।।এ ঘটনায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আটককৃত এনামুল হক উপজেলার কশব ইউনিয়নের চককোঁচাড় গ্রামের আবুল কাসেম সরদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এর আগেও দুইবার ওই শিক্ষার্থীকে শ্রীলতা হানির চেষ্টা করেন। আজ আবারও তাকে একা পেয়ে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে চুমু খায়। সেখান থেকে সে বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে জানালে তার পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা বিদ্যালয়ে এসে বিদ্যালয় ঘেরাও করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় স্থানীয় উৎসুক জনতা ওই শিক্ষকের মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় উচ্ছুক জনতার তোপের মুখে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দল অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, প্রতিদিনের মতো আজ বুধবার সকালে আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে যায়। বিদ্যালয়ে অবস্থান কালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এনামুল হক কৌশলে আমার মেয়েকে বিদ্যালয়ের ছাদে ডেকে নেন। এরপর তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানীসহ জড়িয়ে ধরে চুমু খায়। এতে আমার মেয়ে ভয় পেয়ে কান্নাকাটি করতে করতে বাড়ি ফিরে এসে আমাদের ঘটনাটি জানায়।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)নমুনসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পরে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা তিনি।