Dhaka ০৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামনায় সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ারের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

oppo_0

সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য, (কুমিল্লা-০২, হোমনা- মেঘনা ও পূর্বের হোমনা-তিতাস) আসনের পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী এম কে আনোয়ারের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে উপজেলা সদরে তার নিজ বাড়িতে বড় ছেলে মাহমুদ আনোয়ার কাইজারের উদ্যোগে পরিবারের পক্ষ থেকে কোরাআন খতম, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও হোমনা এবং মেঘনা উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার প্রতিটিতে পাঁচ হাজার টাকা করে দশ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এর আগে পরিবার, উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ তাদের প্রিয় নেতা মরহুম এমকে আনোয়ারের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

মাহমুদ আনোয়ার কাইজারের সভাপতিত্বে মরহুম এম কে আনোয়ারের কর্ম ও জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা সভায় বিএনপি কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন খান, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার, সদস্য সচিব তারেক মুন্সি, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. মো. আজিজুর রহমান মোল্লা, সদস্য সচিব মো. মহিউদ্দিন, পৌর বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক মুকুল, সদস্য সচিব মো. শাহ আলম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আলমগীর সরকার, জাকির হাসান, হানিফ মিয়া, আবদুল আজিজ সাব মিয়া চেয়ারম্যান, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আবদুল লতিফ, যুগ্ন-আহবায়ক ছানা উল্লাহ সরকার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা, মহিলা দলের আহবায়ক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, যুবদলের আহবায়ক এমএ জামাল, শ্রমিক দলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক অহিদুজ্জামান মোল্লা ও ছাত্রদলের আহবায়ক সাইজুদ্দিন আহমেদ সাজুসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

পরে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মাওলানা সাইদুর রহমানের পরিচালনায় মরহুম এম কে আনোয়ার ও তার সহধর্মিনী মাহমুদা আনোয়ারের রুহের মাগফেরাত কামনা ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনে জুলাই-আগষ্টে সংঘঠিত ছাত্র-জনতার আন্দোলন সংগ্রামে হতাহতের স্মরণেও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ খ্রি. ২৪ অক্টোবর ঢাকার এলিফ্যান্ড রোডের নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। এম কে আনোয়ার ১৯৩৩ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ওপারচর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলীম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে সিএসপি কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। কুমিল্লার হোমনা-মেঘনা ও হোমনা-তিতাস আসন থেকে তিনি পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এম কে আনোয়ার বিএনপি সরকারের নৌ পরিবহন, বাণিজ্য, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শিক্ষাজীবনে এম কে আনোয়ার ঢাকা কলেজে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ছাত্র সংসদের সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাবস্থায় তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। এম কে আনোয়ার ও মাহমুদা আনোয়ার দম্পতি দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক-জননী ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হামনায় সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ারের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

Update Time : ০৩:৩২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য, (কুমিল্লা-০২, হোমনা- মেঘনা ও পূর্বের হোমনা-তিতাস) আসনের পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী এম কে আনোয়ারের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে উপজেলা সদরে তার নিজ বাড়িতে বড় ছেলে মাহমুদ আনোয়ার কাইজারের উদ্যোগে পরিবারের পক্ষ থেকে কোরাআন খতম, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও হোমনা এবং মেঘনা উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার প্রতিটিতে পাঁচ হাজার টাকা করে দশ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এর আগে পরিবার, উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ তাদের প্রিয় নেতা মরহুম এমকে আনোয়ারের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

মাহমুদ আনোয়ার কাইজারের সভাপতিত্বে মরহুম এম কে আনোয়ারের কর্ম ও জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা সভায় বিএনপি কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন খান, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার, সদস্য সচিব তারেক মুন্সি, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. মো. আজিজুর রহমান মোল্লা, সদস্য সচিব মো. মহিউদ্দিন, পৌর বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক মুকুল, সদস্য সচিব মো. শাহ আলম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আলমগীর সরকার, জাকির হাসান, হানিফ মিয়া, আবদুল আজিজ সাব মিয়া চেয়ারম্যান, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আবদুল লতিফ, যুগ্ন-আহবায়ক ছানা উল্লাহ সরকার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা, মহিলা দলের আহবায়ক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, যুবদলের আহবায়ক এমএ জামাল, শ্রমিক দলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক অহিদুজ্জামান মোল্লা ও ছাত্রদলের আহবায়ক সাইজুদ্দিন আহমেদ সাজুসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

পরে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মাওলানা সাইদুর রহমানের পরিচালনায় মরহুম এম কে আনোয়ার ও তার সহধর্মিনী মাহমুদা আনোয়ারের রুহের মাগফেরাত কামনা ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনে জুলাই-আগষ্টে সংঘঠিত ছাত্র-জনতার আন্দোলন সংগ্রামে হতাহতের স্মরণেও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ খ্রি. ২৪ অক্টোবর ঢাকার এলিফ্যান্ড রোডের নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। এম কে আনোয়ার ১৯৩৩ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ওপারচর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলীম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে সিএসপি কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। কুমিল্লার হোমনা-মেঘনা ও হোমনা-তিতাস আসন থেকে তিনি পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এম কে আনোয়ার বিএনপি সরকারের নৌ পরিবহন, বাণিজ্য, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শিক্ষাজীবনে এম কে আনোয়ার ঢাকা কলেজে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ছাত্র সংসদের সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাবস্থায় তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। এম কে আনোয়ার ও মাহমুদা আনোয়ার দম্পতি দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক-জননী ছিলেন।