মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নে সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের নবগ্রাম ও ইছাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এবং উভয় পক্ষের অন্তত ৫০টি বাড়ি -ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, সামাজিক আধিপত্যের জেরে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের নবগ্রাম ও ইছাপুর গ্রামের ওহিদ বিশ্বাস ও আহম্মদ আলী এবং গোলাম বিশ্বাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। উক্ত বিরোধের জেরে বুধবার সকালে দু-গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ইমরান (২২), আলম (৩০), বাদশা (৪৫), রিয়াজুল (৪৫), শহীদ (৫০), আল-আমিন (৩২), পিকুল (৩০), সবুর (৩২), জিবলু(২৫), আশরাফুল (৪০), সৈকত আলী (৫০) সহ ২০ জন মারাত্মক আহত হয়। এ সময় আকবর খান, আফজাল খান, নিকবার খান, ইকবাল খান, হানিফ মণ্ডল, নজরুল শেখ, হযরত শেখ, মজিত শেখ, আজিজ শেখ, আকরাম শেখ, পাঞ্জাব মণ্ডল, লতিফ মণ্ডল, তাইজউদ্দিন, জাকির শেখ, আমোদ আলী শেখ, চাঁদ আলী মণ্ডল, সোহেল মোল্যা, সালাম বিশ্বাস, আকবর মণ্ডল, বিপুল মণ্ডল, সব্দাল মণ্ডল, শরিফুল বিশ্বাস, ধলা বুড়ির দোকান, মধু মোল্যা, রমজান আলী, ফজলুর রহমান, রাজিয়া মেম্বার, মিজানুর রহমান, মোকাব্বর মণ্ডল, মন্নু মণ্ডল, হারুন শেখের মাহিন্দ্রা গাড়ি, মিলন মোল্যা, বাহাদুর মোল্যা, আশরাফুল ইসলাম, কাসেদ আলী, জুয়েলসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এছাড়া প্রতিপক্ষের বাড়ি থেকে গরু, মহিষ ও ছাগল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ওসি তদন্ত গৌতম ঠাকুর বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।তবে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে-কোনো সময় ঘটে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।