বেনাপোল বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃত বিপুল পরিমানের শুটকি মাছের চালান জব্দ করেছে কাস্টম। বুধবার দুপুরে বেনাপোলে কর্মরত জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বন্দরের ৩১ নাম্বার সেড ইয়ার্ড থেকে এ পণ্যের চালান জব্দ করা হয়েছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, যশোরের মেসার্স শামীম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৫০ মেট্রিক টন ফিশ মিল ঘোষণা দিয়ে পণ্য চালানটি বাংলাদেশে আমদানি করে। চালানটি রপ্তানি করে ইন্ডিয়ার আরএসটি ইনোভেটিভ সল্যুশন এলএলপি নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। পন্য চালানটি কাস্টম থেকে ছাড় করণের জন্য কাস্টম হাউসে বিলঅবএন্ট্রি দাখিল করেছে প্যারেন্টস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সেন্টার নামে বেনাপোলের একটি কাস্টম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্ট।
পন্য চালানটি ভারতীয় তিনটি ট্রাকে বেনাপোল বন্দরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে প্রবেশ করে। যার ট্রাকং নং- ডব্লিউ বি-২৫-এফ-৭৭২৩, ডব্লিউ বি-২৫-সি-১২৪১ ও ডব্লিউ বি-২৫-এফ-১৬৯২।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের পরীক্ষন কর্মকর্তা সুপারেনটেনডেন্ট জাহিদুর রহমান জানান, বুধবার দুপুরে এনএসআই এর সংবাদের ভিত্তিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ফিশমিল ঘোষনা দিয়ে আমদানি করা পণ্য চালানটি পরীক্ষণ করা হয়। সন্ধ্যার সময় পরীক্ষণ শেষে তিনটি ট্রাকে আমদানি করা ৫০ টন ফিশ মিলের মধ্যে ঘোষণা বহির্ভূত প্রায় ৭ টন শুটকি মাছ পাওয়া গেছে। ফিশ মিলের কোন শুল্ক কর না থাকায় এবং কাস্টমসে শুটকি মাছের প্রতি কেজি শুল্কায়ন মূল্য ২ ডলার ও শুল্ককর ৫৮% হওয়াতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এখানে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। এখানে ঘোষণা বহির্ভূত শুঁটকি মাছের মূল্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পন্য চালানটিতে সরকারের শুল্ককর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল প্রায় ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্যচালানটি আমদানি করায় সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিলঅবএন্ট্রি দাখিলকারি বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট’ প্যারেন্টস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সেন্টারের প্রতিনিধি তারেক বাবুল জানান, আমদানিকৃত পণ্য চালানটি ফিশ মিল। এখানে কোন শুটকি মাছ নেই। ল্যাবে পরীক্ষণ করলে প্রমাণিত হবে’ এটা ফিশ মিল না’কি শুটকি মাছ।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথৈলো চৌধুরী জানান আমদানিকৃত ফিশ মিলের ভিতরে ঘোষণা বহির্ভূত শুটকি মাছ পাওয়া গেছে, এজন্য পন্য চালানটি সাময়িকভাবে আটক করা হয়েছে। তিনি জানান, জব্দকৃত পণ্যচালানে প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল। কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷