গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক যুবককে পরিকল্পিতভাবে মাদক মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের মৃত আলহাজ্ব ভোলা ব্যাপারীর ছেলে ভূক্তভোগি মুকুল মিয়া সুন্দরগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গত রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্বব্যে মুকুল মিয়া বলেন, তিনি পেশায় একজন ড্রাইভার। ওই সুবাদে গাইবান্ধা জেলা মটর মালিক সমিতি কর্তৃক পরিচালিত বামনডাঙ্গা আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্ব পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে। মটর মালিক সমিতির দেওয়া চালান বহিসহ বামনডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডেও দায়িত্ব পালন করাকালিন কতিপয় মাদক সেবী ও দুষ্কৃতিকারী চাদা চেয়ে না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে মাদক মামলার আসামি করেন।
মুকুল বলেন, গত ২৩ অক্টোবর রাত ১১ টারদিকে ওই দুষ্কৃতিকারীদলের সদস্য পার্শ্ববর্তী পূর্ব সোনারায় গ্রামের সামাদ কসাইয়ের ছেলে বাবু মিয়া পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে মোবাইলে কল দিয়ে আমার বাড়ির বাহিরে পুকুর পাড়ে ডেকে নেন। সেখানে গিয়ে দেখি বাবুর সঙ্গীয় সবুজ মিয়া (৩৫), আকাশ ইসলাম (২৮), মনিরুজ্জামান (৩০), সাজু মিয়াসহ (২৭) আরও ৬/৭ জন আমাকে বলে, তুই নেশা করিস, তুই নেশার ব্যবসা করিস,এখন তোকে তোর বামনডাঙ্গার বাসায় যেতে হবে। এরপর আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে জোড়পূর্বক টেনে হিচরে তাঁদের অটোভ্যানে তুলে বামনডাঙ্গায় নিয়ে যায়। সেখানে আমার বাসার তালা খুলতে বলে। কিন্তু আমার কাছে বাসার চাবি না থাকায় কসাই বাবু তাঁর মাংশ কাটার ছ্যানি ও ছুড়ি দিয়ে তালা ভেঙ্গে সকলেই ভিতরে ঢুকে আলমারীর তালা ভেঙ্গে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণের ২ টি মালা, হাতের বালা ৪ টি,এনআইডি কার্ড,পাসপোর্ট কার্ড, ডাচবাংলা ও ইসলামী ব্যাংকের এটিএম কার্ড, শ্রমিক কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জমির দলিল পত্রসহ ২ টি মোবাইল ফোন ও প্রয়োজনীয় অনেক কাগজপত্র নেয়। এসময় তাঁরা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন মাদক দ্রব্যের ৪টি খালি বোতল, ৩ টি ভর্তি বোতল, ২ পিচ রেখে পুলিশকে মোবাইল করে ডেকে নিয়ে মামলার সুত্রপাত ঘটায়।