যশোরের শার্শা উপজেলার আমলাই গ্রামের তাসলিমা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূর লাশ দুই মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছে।
বুধবার(৩০ অক্টোবর) বেলা ১২ টার সময় পারিবারিক কবরস্থান থেকে তাসলিমার লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাসলিমা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের আমলাই গ্রামের নূর আহম্মেদের স্ত্রী। এসময় শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট নুসরাত ইয়াসমিন ও বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ ই আগষ্ট ভোর রাতে তাসলিমা খাতুনের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। এসময় তাসলিমার মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন তৈরী হলেও তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করা হয়। তাসলিমার স্বামী নুর মোহাম্মদ জানান, ঘটনার দিন মসজিদ থেকে ফজর নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তার ঘাড়ে এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিলো। নাক দিয়ে রক্ত ঝরতেও দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু পারিবারিক চাপে পড়ে তিনি ময়না তদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি লাশ দাফন করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, তাসলিমার মৃত্যুর ঘটনাটি পারিবারিক ভাবে তারা গোপন রেখেছিলো। তিনি আরও বলেন ঘটনার ৬ দিন পরে লোকমুখে আমি মৃত্যুর খবরটি জানতে পারি।
এব্যাপারে তাসলিমার স্বামী বলেন, আমি যখন জানতে পারি মৃত্যুটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে খুন করা হয়েছে তখন আমি আদালতে মামলা করি। এব্যাপারে নুরমুহাম্মদ তার দুই ভাইপোর নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করলে আদালত ময়না তদন্তের জন্য তাসলিমার লাশ তুলতে নির্দেশ দেন।