বিপর্যস্ত স্পেনে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে ভয়াবহ বন্যায়।নিখোঁজ রয়েছে এখনো অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধারকারী দলগুলো এখনো নিখোঁজর উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে। বন্যায় সেতু ধ্বংস হয়েছে। শহর ঢেকে গেছে কাদা পানিতে। পানি, বিদ্যুৎ ও খাদ্য সংকটে থাকা অনেক জায়গা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বাসিন্দাদের দাবি, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আরও দ্রুত বন্যার ঝুঁকির সতর্কতা দিলে হয়তো আরও প্রাণ বাঁচানো যেত।
ভ্যালেন্সিয়া ও ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল ভয়াবহ আবহাওয়া পার করলেও স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এখনো সতর্ক সংকেত আছে। সেখানে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হুয়েলভা অঞ্চলও রয়েছে। কারতায়া শহরে মাত্র দশ ঘণ্টায় যেই বৃষ্টি হয়েছে তা সাধারণত সেখানকার দু মাসের বৃষ্টির সমান। আরও দক্ষিণের জেরেজ শহরে প্রবল বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বেড়ে যাওয়া শত শত পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তবে আঞ্চলিক সরকারের আওতায় দ্য সিভিল প্রটেকশন এজেন্সি মঙ্গলবার ভ্যালেন্সিয়া শহরের ভেতরে ও আশেপাশের মানুষের মোবাইল ফোনে জরুরি বার্তা দিয়েছিলো বলে জানা গেছে। কিন্তু এর মধ্যেই বন্যার পানি অনেক এলাকায় ঢুকে পড়েছিলো এবং কিছু ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই ধ্বংসযজ্ঞ তৈরি করেছিলো।
মাইরেইয়া ভ্যালেন্সিয়ার বিপর্যস্ত এলাকাগুলোর কাছেই বাস করেন। তিনি বলেছেন, জনসাধারণ মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। অনেকে তাদের গাড়ির মধ্যে ছিলো,তারা বের হতে পারেনি। তারা পানিতে ডুবে গেছে।
ভ্যালেন্সিয়ার আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট কার্লস ম্যাজন বলেছেন আর সৈন্য মোতায়েন করতে যাচ্ছেন তারা। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ সামাজিক মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি তাদের ‘সংহতি এবং স্প্যানিশ সমাজের প্রতি তাদের সীমাহীন ত্যাগের উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছেন।