Dhaka ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যবসায়িরা দোকানকে গোডাউন আর সড়ক কে করেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

oppo_2

সৈয়দপুর পৌর শহরের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে পণ্য সাজিয়ে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণভাবে রেললাইন সংলগ্ন হোটেলের রান্না করছেন হোটেল মালিকরা।আর এসব রান্নার চুলার পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে পথচারীদের। শুধু তাই নয়, শহরের অনেক ব্যবসায়ি দোকানের মালপত্র ফুটপাতে রেখে ব্যবসা করায় পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আর হকাররা পণ্য সাজিয়ে ফুটপাত দখল করে রাখায় গিন্জি শহরে ভিড়ের কারণে পথচারীদের হেঁটে যাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। তাই বেশির ভাগ পথচারী হাঁটছেন ভিরে ভরা সড়ক দিয়ে। এ কারণে হরহামেশাই ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা।শহরের ১ নং রেল ঘুমটি ঢুকলেই এসব চিত্র চোখে পড়ে।

দেখা যায়, শহরের ১ নং ঘুমটি থেকে শহীদ ডাক্তার জিকরুল হক সড়কের জিআরজি হোটেল ও  শহীদ ডাক্তার শামসুল সড়কের  দুইপাশের ফুটপাতও রাস্তা দখল করে  মালামাল সাজিয়ে রেখেছেন দোকানীরা।অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা, দোকানের সামনের ২/৩ ফিট অংশ হকারদের ভাড়ায় দিয়ে রেখেছেন।দোকানিরা হকারদের রাস্তা ভাড়ায় দিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন আদায় করছেন ৪/৫ শত টাকা। রেললাইন সংলগ্ন দুই পাশ দখল করে পুরাতন গরম কাপড়ের ব্যবসা করছেন অনেকেই।শহরের শতকরা ৮০ ভাগ ব্যবসায়ী তারা তাদের দোকানকে গোডাউন আর রাস্তাকে দোকানে পরিনত করেছেন। তামান্না সিনেমা হল মোড় থেকে আধুনিক প্লাজা মার্কেটের দুইপাশ দখল করে রমরমা ব্যবসা করছেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা। একই অবস্থা সৈয়দপুর -রংপুর সড়ক ও বাবু তুলশিরাম আগরয়াল সড়ক। সৈয়দপুর পৌর পরিষদ শহরে প্রায় ৫ হাজার রিক্সা ও অটোরিকশা শহরে চলাচলের অনুমতি দিলেও ষ্ট্যান্ড না থাকায় ব্যস্ত সড়কেই দাড়িয়ে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা।ফলে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ নিত্যদিনের।বিশেষ করে সড়ক দখল করে রড-সিমেন্টের দোকান, সাইকেল-পার্টস, পানির পাম্প, পাওয়ার ট্রিলার, ফার্নিচার, ওয়েল্ডিং ওয়ার্কসপ, জুতা-সেন্ডেলের দোকান থাকায় ফুটপাতে যাতায়াত করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকির বলেন, এতদিন দলীয় মেয়র ও পৌর পরিষদের লোকজনের কারনে রাস্তাঘাট ও ফুটপাত দখলে নিয়েছিল ব্যবসায়িরা। আমি মাত্র দেড় মাস হয় পৌরসভার দায়িত্ব পেয়েছি। এরই মধ্যে শহরের রাস্তা ঘাট উন্নয়নে প্রায় দেড কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে রাস্তা সংস্কার অব্যাহত রয়েছে।জনগন সহযোগিতা করলে আগামী এক মাসের মধ্যে শহরের প্রতিটি রাস্তা সংস্কার ও ফুটপাত দখল মুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন আমি সরকারের চাকরি করি। জনগনের সুবিধার্থে সৈয়দপুর শহর উন্নয়ন ও যানজট নিরসন করবোই করবো এতে কোন সন্দেহ নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

সৈয়দপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

ব্যবসায়িরা দোকানকে গোডাউন আর সড়ক কে করেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

Update Time : ০৪:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

সৈয়দপুর পৌর শহরের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে পণ্য সাজিয়ে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণভাবে রেললাইন সংলগ্ন হোটেলের রান্না করছেন হোটেল মালিকরা।আর এসব রান্নার চুলার পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে পথচারীদের। শুধু তাই নয়, শহরের অনেক ব্যবসায়ি দোকানের মালপত্র ফুটপাতে রেখে ব্যবসা করায় পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আর হকাররা পণ্য সাজিয়ে ফুটপাত দখল করে রাখায় গিন্জি শহরে ভিড়ের কারণে পথচারীদের হেঁটে যাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। তাই বেশির ভাগ পথচারী হাঁটছেন ভিরে ভরা সড়ক দিয়ে। এ কারণে হরহামেশাই ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা।শহরের ১ নং রেল ঘুমটি ঢুকলেই এসব চিত্র চোখে পড়ে।

দেখা যায়, শহরের ১ নং ঘুমটি থেকে শহীদ ডাক্তার জিকরুল হক সড়কের জিআরজি হোটেল ও  শহীদ ডাক্তার শামসুল সড়কের  দুইপাশের ফুটপাতও রাস্তা দখল করে  মালামাল সাজিয়ে রেখেছেন দোকানীরা।অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা, দোকানের সামনের ২/৩ ফিট অংশ হকারদের ভাড়ায় দিয়ে রেখেছেন।দোকানিরা হকারদের রাস্তা ভাড়ায় দিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন আদায় করছেন ৪/৫ শত টাকা। রেললাইন সংলগ্ন দুই পাশ দখল করে পুরাতন গরম কাপড়ের ব্যবসা করছেন অনেকেই।শহরের শতকরা ৮০ ভাগ ব্যবসায়ী তারা তাদের দোকানকে গোডাউন আর রাস্তাকে দোকানে পরিনত করেছেন। তামান্না সিনেমা হল মোড় থেকে আধুনিক প্লাজা মার্কেটের দুইপাশ দখল করে রমরমা ব্যবসা করছেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা। একই অবস্থা সৈয়দপুর -রংপুর সড়ক ও বাবু তুলশিরাম আগরয়াল সড়ক। সৈয়দপুর পৌর পরিষদ শহরে প্রায় ৫ হাজার রিক্সা ও অটোরিকশা শহরে চলাচলের অনুমতি দিলেও ষ্ট্যান্ড না থাকায় ব্যস্ত সড়কেই দাড়িয়ে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা।ফলে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ নিত্যদিনের।বিশেষ করে সড়ক দখল করে রড-সিমেন্টের দোকান, সাইকেল-পার্টস, পানির পাম্প, পাওয়ার ট্রিলার, ফার্নিচার, ওয়েল্ডিং ওয়ার্কসপ, জুতা-সেন্ডেলের দোকান থাকায় ফুটপাতে যাতায়াত করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকির বলেন, এতদিন দলীয় মেয়র ও পৌর পরিষদের লোকজনের কারনে রাস্তাঘাট ও ফুটপাত দখলে নিয়েছিল ব্যবসায়িরা। আমি মাত্র দেড় মাস হয় পৌরসভার দায়িত্ব পেয়েছি। এরই মধ্যে শহরের রাস্তা ঘাট উন্নয়নে প্রায় দেড কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে রাস্তা সংস্কার অব্যাহত রয়েছে।জনগন সহযোগিতা করলে আগামী এক মাসের মধ্যে শহরের প্রতিটি রাস্তা সংস্কার ও ফুটপাত দখল মুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন আমি সরকারের চাকরি করি। জনগনের সুবিধার্থে সৈয়দপুর শহর উন্নয়ন ও যানজট নিরসন করবোই করবো এতে কোন সন্দেহ নেই।