Dhaka ১২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মধ্যপাড়া গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রে স্বেচ্ছাচারিতা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

দিনাজপুরের মধ্যপাড়া খনিজ শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রে স্বেচ্ছাচারিতা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব রসুলপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ পারুল বেগম দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে উক্ত গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের একজন সফল সদস্য। সংস্থার নিয়ম নীতির আলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ঋন গ্রহন এবং পরিশোধ করে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে মাঠ কর্মি নাজমুল হোসেন গ্রাহকদের নানা ভাবে হয়রানি করছেন। পারুল বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেন জানান  আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি এবং সদস্য পদ লাভ করে ঋন গ্রহিতা হিসেবে আমাদের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো।

আমি আমার মেয়ের বিবাহের জন্য ঋন ফরম করি। প্রক্রিয়াগত বিলম্বের কারণে ঋন ফরম করার পরে  বিকল্প উপায়ে টাকা সংগ্রহ করে বিবাহ অনুষ্ঠান পরবর্তী সময়ে  মাঠ কর্মি নাজমুল হোসেনের সঙ্গে ঋণের জন্য পূনরায় যোগাযোগ করি। আমার সমুদয় কিস্তি পরিশোধ  করা আছে এবং  ঋন পরিশোধ বই হালফিল থাকা সত্বেও তিনি বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর  ঋন প্রদান সম্ভব নয় বলে জানান।  যেহেতু আমি এই গ্রাম বিকাশ সংস্থার পুরাতন সদস্য এবং আমার লেনদেন  অত্যন্ত সন্তোষজনক  যার প্রমানক আমার ঋন বই। তথাপি আমার ঋন প্রদানে গড়িমসি হয়রানি মুলক।

এ বিষয়ে মাঠ কর্মি নাজমুল হোসেন ০১৭১৭৮৫১৮৭৬ বলেন তার বই হালফিল রয়েছে সত্য তবে  কেন ঋন দেওয়া হচ্ছে না  ব্রাঞ্চ ম্যানেজার স্যার ভালো বলতে পারবেন।  ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোস্তাকিম  ০১৮৪৪৯১০১৫৩ নং মোবাইলে জানান   কম্পিউটার সার্ভারে পারুল বেগমের তথ্য একটু  সমস্যা  আছে তাই ঋন ফরম বাতিল করা হয়েছে। ঋন বই হালফিল থাকা সত্বেও সার্ভার আপডেট নিয়ে গোঁজামিল বক্তব্য   কতটা গ্রহন যোগ্য এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।   নিয়মিত  সদস্য কে  ঋন বিতরনে হয়রানীতে অন্যান্য গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সচেতন  মহলের অভিমত এভাবে স্বেচ্ছাচারিতা ও  হয়রানি মুলক ভাবে ঋন বিতরণ গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের সুনাম সহ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে এবং সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে বিরুপ ধারণার বিস্তৃত ঘটবে।  মাঠ কর্মি নাজমুল  হোসেন দের স্বেচ্ছাচারিতা কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হোক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

মধ্যপাড়া গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রে স্বেচ্ছাচারিতা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

Update Time : ০৫:০৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

দিনাজপুরের মধ্যপাড়া খনিজ শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রে স্বেচ্ছাচারিতা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব রসুলপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ পারুল বেগম দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে উক্ত গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের একজন সফল সদস্য। সংস্থার নিয়ম নীতির আলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ঋন গ্রহন এবং পরিশোধ করে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে মাঠ কর্মি নাজমুল হোসেন গ্রাহকদের নানা ভাবে হয়রানি করছেন। পারুল বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেন জানান  আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি এবং সদস্য পদ লাভ করে ঋন গ্রহিতা হিসেবে আমাদের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো।

আমি আমার মেয়ের বিবাহের জন্য ঋন ফরম করি। প্রক্রিয়াগত বিলম্বের কারণে ঋন ফরম করার পরে  বিকল্প উপায়ে টাকা সংগ্রহ করে বিবাহ অনুষ্ঠান পরবর্তী সময়ে  মাঠ কর্মি নাজমুল হোসেনের সঙ্গে ঋণের জন্য পূনরায় যোগাযোগ করি। আমার সমুদয় কিস্তি পরিশোধ  করা আছে এবং  ঋন পরিশোধ বই হালফিল থাকা সত্বেও তিনি বেশ কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর  ঋন প্রদান সম্ভব নয় বলে জানান।  যেহেতু আমি এই গ্রাম বিকাশ সংস্থার পুরাতন সদস্য এবং আমার লেনদেন  অত্যন্ত সন্তোষজনক  যার প্রমানক আমার ঋন বই। তথাপি আমার ঋন প্রদানে গড়িমসি হয়রানি মুলক।

এ বিষয়ে মাঠ কর্মি নাজমুল হোসেন ০১৭১৭৮৫১৮৭৬ বলেন তার বই হালফিল রয়েছে সত্য তবে  কেন ঋন দেওয়া হচ্ছে না  ব্রাঞ্চ ম্যানেজার স্যার ভালো বলতে পারবেন।  ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোস্তাকিম  ০১৮৪৪৯১০১৫৩ নং মোবাইলে জানান   কম্পিউটার সার্ভারে পারুল বেগমের তথ্য একটু  সমস্যা  আছে তাই ঋন ফরম বাতিল করা হয়েছে। ঋন বই হালফিল থাকা সত্বেও সার্ভার আপডেট নিয়ে গোঁজামিল বক্তব্য   কতটা গ্রহন যোগ্য এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।   নিয়মিত  সদস্য কে  ঋন বিতরনে হয়রানীতে অন্যান্য গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সচেতন  মহলের অভিমত এভাবে স্বেচ্ছাচারিতা ও  হয়রানি মুলক ভাবে ঋন বিতরণ গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের সুনাম সহ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে এবং সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে বিরুপ ধারণার বিস্তৃত ঘটবে।  মাঠ কর্মি নাজমুল  হোসেন দের স্বেচ্ছাচারিতা কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হোক।