ভারতের আদানি গ্রুপের বকেয়া পরিশোধ করার গতি বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে। সেই সক্ষমতা সরকারের আছে।বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।তিনি বলেন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে রেমিট্যান্স বেড়েছে। ফলে এখন সেন্ট্রাল রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো করতে পারছি। রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, বিদ্যুৎ আমদানির জন্য আদানি গ্রুপ টাকা পায় এটা সত্য। তাদের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি বাড়িয়েছি। যে বেকলট (পূর্বের বিল) আছে সেটার জন্য মূলত দায়ী আওয়ামী লীগ সরকার। তারা বিশাল ফাইল অব বেকলট রেখে গেছিল।
তিনি বলেন, আদানি গ্রুপকে গত মাসে আমরা ৯৭ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করেছি। যেটা আগস্ট বা আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পেমেন্ট আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের রিজার্ভ বাড়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো রিজার্ভে হাত না দিয়েই করতে পারছি। পেমেন্ট ৭০০ মিলিয়ন ডলার বাকি। সেটিও দ্রুত দিতে পারবো।
শফিকুল আলম বলেন, আমরা কারও দ্বারা পাওয়ার হোস্টেজ (জ্বালানি নির্ভরতা) হবো না। নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বছরের ১৬-১৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টাকা পাচারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। সেই টাকা ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। কত টাকা পাচার হয়েছে তা বের করতে উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।