৩ নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস আজ।মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিগত বছরগুলোতে চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধার মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। তবে এবার তেমন কোনো কর্মসূচি নেই।
আত্মগোপনে চার নেতার পরিবারের মধ্যে তিন নেতার পরিবারের সদস্যরা। শুধু তাজউদ্দীন আহমদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তারা আগ্মগোপনে থাকায় এবার কোনো কর্মসূচি পালন করার খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে তাজউদ্দীন পুত্র সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেবেন বলে জানা গেছে।
সোহেল তাজ ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। দেখতে দেখতে ৪৯ বছর পার হয়ে গেল অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম- আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
সোহেল তাজের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয় সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে, তাই এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে। ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে। জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আমি মনে করি, আমার এই তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলের প্রাণের দাবি করেন সোহেল তাজ।
সোহেল তাজ আজকের কর্মসূচির বিষয়ে বলেন বিকাল ৩টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আমি অবস্থান নেব এবং পরবর্তীতে পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করব। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থেকে বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার উদ্দেশে হেঁটে যাত্রা শুরু করব।