পটুয়াখালীর গলাচিপায় খাবারে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে মা ও ছেলেকে অচেতন করে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার (৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। অসুস্থ মাহিনুর বেগম (৪০) ও ছেলে আজিজুল (১০) ওই গ্রামের শানু ডাক্তারের স্ত্রী ও ছেলে। বর্তমানে অসুস্থ মা ও ছেলে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে ঘটনার সাথে জড়িত চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পাশর্^বর্তী আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গেরাবুনিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মৃধার ছেলে মাহাতাব হোসেন (৩৬) ও গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের হাবিব মৃধার ছেলে রাশেদুল মৃধা (৩৭)। এ ঘটনায় ভিকটিম মাহিনুর বেগমের মেয়ে ও হাসান খানের স্ত্রী সীমা (২২) বাদী হয়ে সোমবার রাতে গলাচিপা থানায় মাহাতাব হোসেন ও রাশেদুল মৃধার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত রবিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভিকটিম মাহিনুর বেগমের টিনশেড বিল্ডিং ঘরে চোর চক্রের সদস্যরা সুকৌশলে প্রবেশ করে রাতের খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে রাখে। চেতনানাশক ওষুধ মেশানো খাবার খেয়ে মা মাহিনুর ও ছেলে আজিজুল সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘুমে অচেতন হয়ে বিছানায় পড়ে থাকে। এ সময় চোরেরা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সারাশব্দ না পেয়ে পিছনের খোলা দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পরে আমখোলা বাজারে পুলিশের চেকপোস্ট চলাকালীন সময়ে চোর চক্রের সদস্য মাহাতাব একটি সোলার ব্যাটারি বিক্রির জন্য নিয়ে গেলে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে মাহাতাব খাবারে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে চুরি করার কথা স্বীকার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি সোলার ব্যাটারি, একটি পিতলের খুন্তি ও নগদ ৪ হাজার ৫৫০ টাকা জব্দ করা হয়। পরে ধৃত মাহাতাবের কথ্য মতে পুলিশ ওই রাতেই উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে নিজ ঘর থেকে চোর চক্রের অপর সদস্য রাশেদুল মৃধাকে গ্রেপ্তার করে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, খাবারে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে চুরির ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার আসামিদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।