মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করায় সোমবার সকালে পরিষদের দুই ইউপি সদস্যকে মারধর করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার দুই ইউপি সদস্য হচ্ছেন- পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের কামরুল হাসান এবং ৬নং ওয়ার্ডের রূপ কুমার মণ্ডল।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার কাজলী বাজারে সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ইউপি সদস্যদের পক্ষ থেকে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পান্না খাতুনের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়; কিন্তু এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর পথেই হামলার শিকার হন ওই দুই ইউপি সদস্য।
ওই হামলার কারণে নির্ধারিত সময়ের পর বেলা ১২টার দিকে কাজলী বাজারে আয়োজিত মানববন্ধনে সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম টুটুল অভিযোগ করেন, পান্না খাতুন নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হওয়ার পর নিজেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের ছোট বোন পরিচয় দিয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি শুরু করেন। গত তিন বছরে তিনি পরিষদে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বসিয়ে রেখে নির্বাচিত সদস্যদের নানাভাবে অপদস্থ করার পাশাপাশি ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছেন। যে ঘটনার প্রতিকার এবং চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে রোববার পরিষদের নির্বাচিত ১০ ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।এসময় চেয়ারম্যান পবন এবং লিখন নামে দুই সন্ত্রাসীকে ওপর লেলিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে সব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পান্না খাতুন জানান, মেম্বারদের ওপর হামলার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। তবে যারা তার অপসারণ দাবি করছেন তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি আনারুল ইসলাম টুটল। এছাড়া অনাস্থা প্রস্তাবকারী ১০ জনের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে তারা এখন আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।