একই রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দেখল একাধিক অঘটন। ম্যাচ হেরেছে তিনটি বড় দল। রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি। তবে, লুইস দিয়াজ় হ্যাটট্রি আর কোডি গাকপোর এক গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাটে শীর্ষে উঠে গেছে লিভারপুল। গোল পার্থক্যে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে স্পোর্টিং এবং মোনাকো।
ঘরের মাঠে সবশেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। লিগের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও নিজেদের ডেরায় সপ্তাহখানেকের মধ্যে আরও একবার হারের তেতো স্বাদ পেল তারা। চলতি মৌসুমে অধারাবাহিক এসি মিলানের বিপক্ষে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মিলানের কাছে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে মালিক চিয়াও মিলানকে এগিয়ে দেয়ার পর পেনাল্টি থেকে সমতা টানেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। বিরতির আগে আলভারো মোরাতা ফের সফরকারীদের লিড পাইয়ে দেয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান টিয়ানি রেইন্ডার্স।
২০০৯ সালের পর ইউরোপসেরার মঞ্চে প্রথমবার রিয়ালের বিপক্ষে জিতল মিলান। ১৫ বছর আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই ৩-২ গোলে জিতেছিল ইতালিয়ানরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাতের অন্য ম্যাচে পর্তুগালের ক্লাব স্পোর্টিং সিপি’র মাঠে ৪-১ গোলে হেরেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি। ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই প্রথম চার গোল হজম করেছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন দলটি। পাশাপাশি ২০১৮ সালের এপ্রিলের পর এই প্রথম টানা তিন ম্যাচে হারল সিটি।
রাতের আরেক ম্যাচে লুইস ডিয়াজের হ্যাটট্রিকে লেভারকুসেনকে ৪-০তে উড়িয়ে দিয়েছে লিভারপুল। অপর গোলটি কোডি গ্যাকপোর। টানা ৪ ম্যাচে জয়ের দেখা পেল আর্নে স্লটের দল। জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠেছে তারা। চার ম্যাচের সবকটি জিতে পয়েন্ট ১২।
চার ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে নেমে গেছে রিয়াল। সমান পয়েন্টে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা মিলান উঠে এসেছে ১৮ নম্বরে।
বোলোগনার বিপক্ষে ১-০তে জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন আছে মোনাকো। বোলোগনার অবস্থান ৩০তম। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ১-০তে জিতেছে স্ট্রুম গ্রাজের বিপক্ষে। পয়েন্ট টেবিলে চারে আছে ডর্টমুন্ড। সেলটিক ৩-১ গোলে হারিয়েছে লেইপজিগকে এবং ও লিল-জুভেন্টাসের ম্যাচটি হয়েছে ১-১ গোলে ড্র।