ইহুদিবাদী ইসরাইলের অর্থনীতি বিষয়ক একটি পত্রিকা একথা স্বীকার করেছে যে, গাজা যুদ্ধ তেল আবিবের অর্থনীতির ওপর ভয়ঙ্কর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বিষয়টি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার বহু বছর পরও ইসরাইল সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক দুরবস্থা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না।
দি মার্কার পত্রিকার প্রতিবেদনে ইসরাইলের চলমান গাজা যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে: গত এক বছরে ইসরাইলে বেকারত্বের হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে এবং ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এই পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। বার্তা সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, দি মার্কার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দক্ষিণ লেবাননে সে যুদ্ধের বিস্তারের ফলে পরস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
এই ইসরাইলি দৈনিকটির ভাষ্যমতে, ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে নতুন ইসরাইলি কোম্পানি খোলার সংখ্যা বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
বহু ইসরাইলি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক তাদের ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা বা নতুন নতুন প্রজেক্ট চালু করার কাজ স্থগিত রেখেছে। তাদের সবাই বলেছে, ইসরাইল এক বছর ধরে যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে এবং এ যুদ্ধ শেষ হওয়ারও কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না।
ইসরাইলি দৈনিকটি ব্যাংক ঋণে সুদের উচ্চহারের কথা জানিয়ে বলেছে, এই হার কমারও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি মন্ত্রিসভার পাশাপাশি ইহুদিবাদী ব্যাংকগুলো ঋণ দেয়ার কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না; কাজেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকেরা ঋণ পাচ্ছে না এবং তাদের আয় মারাত্মভাবে কমে গেছে।
দৈনিকটির ভাষায়, অন্তত ৬০ হাজার ইসরাইলি তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কাজেই তাদের পক্ষে নতুন কোনো ব্যবসায়িক প্রকল্পে হাত দেয়া সম্ভব হবে না।